অসামান্য অভিনয়ে জিতেছিলেন দর্শকদের মন! কী ভাবে কাজ পাওয়া যায় টলিউডে? কাস্টিং কাউচ নিয়ে অকপট শ্রেয়া ভট্টাচার্য

ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ। চাকরি জীবন শেষ। সামনে অফুরন্ত অবসর। আচমকা একদিন ভুল নম্বর থেকে ফোন এসে বেকায়দায়। এমনই এক গল্প নিয়ে তৈরি। ‘বেলাইন’ (Beline)। মুক্তি পাচ্ছে ২৯ মার্চ। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ছবির ট্রেলার (Film Trailer)। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর খাওয়া, ঘুম আর টিভি দেখেই সাদামাটা দিন কাটে বৃদ্ধের। একটা ফোন কল। ওপাশ থেকে এক যুবতীর কণ্ঠ (যুবতীর ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী শ্রেয়া ভট্টাচার্য (Shreya Bhattacharya)। তারপর বৃদ্ধের জীবন ঘুরে গেল ১৮০ ডিগ্রি। এরপর গল্প কোন দিকে মোড় নেবে?

প্রশ্নের উত্তরে নায়িকা শ্রেয়া হেসে হেসে জানান,”আমি ওই বন্ধুগুলোর মতো না যারা থ্রিলারের সাসপেন্স বলে দেয়। ছবিটা যেহেতু সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ঘরানার, তাই আমি তেমনটা করব না!” বাংলায় সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারটির পরিচালনা করছেন শমীক রায়চৌধুরী। এই প্রথম শ্রেয়ার সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। সৃজিত, কৌশিকের পর ফের বড়পর্দায় নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগছে শ্রেয়ার? অভিনেত্রীর কথায়, “পরিচালনা তো পড়ে। প্রথমে একজন অভিনেতার ছবির গল্প পছন্দ হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। গল্পটা শুনে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছিল।”

থিয়েটার, বড়পর্দা আর এখন আবার ওয়েব সিরিজের জগতে পরিচিত মুখ শ্রেয়া। তবে সিলভার স্ক্রিন বা ওয়েবে কাজ করেও থিয়েটার অগ্রাধিকার দেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “যারা থিয়েটার করেছে, তারা মঞ্চে অভিনয় করার থ্রিলটা অনুভব করতে
পেরেছে। আমার মনে হয় না সেই থ্রিলটা অন্য কোথাও আছে।” ছবি মুক্তির একদিন আগে খোশ মেজাজে শ্রেয়া আড্ডার ছলে কথা বললেন ইন্ডাস্ট্রির কালো সত্য ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে।

শ্রেয়া বলছেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়ার দুটো পথ আছে। অডিশন আর পরিচিতি। হ্যাঁ, অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী কাস্টিং কাউচের শিকার। অনেকে ভাল ভাল কাজও করছেন। তবে তাদের নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে কাস্টিং কাউচদের আমি একটুও সম্মান করিনা।” অভিনেত্রীর সংযোজন ‘সে’ক্স’ বিষয়টি খুব ব্যক্তিগত। “কাজের জায়গায় এটির ব্যবহারের প্রয়োজন কোথায়?”

আরও পড়ুনঃ দারুণ খবর! স্টার জলসায় নতুন ধারাবাহিক নিয়ে ফিরেছেন প্রতীক সেন এবং তিতিক্ষা দাস! সত্যি নাকি?

তবে আসন্ন ছবি বেলাইনে তাঁর চরিত্রটির সঙ্গে বাস্তবের শ্রেয়ার কতটা মিল? ব্যক্তি শ্রেয়ার সঙ্গে চরিত্রের মিল না থাকলেও, শ্রেয়া নিজের টিনএজে এরকম বহু ভুল নম্বরে ফোন করতেন। ভুল নম্বরে ফোন করে বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবও তৈরি করেছিলেন তিনি। সিনেমার গল্পটি শুধু একজন বয়স্ক লোকের জীবন এসপাড়-ওসপাড় হয়ে যাওয়ার গল্প নয়। গল্পে রয়েছে একটি প্রেমজ অ্যাঙ্গেল। দেখা যাবে নিউএজ রোম্যান্স কেমন হয়।

Back to top button