কন্যাদান’, ‘কনকাঞ্জলি’ নয়, ‘ভাত কাপড়ের দায়িত্ব ভাগ’ সনাতনী প্রথা ভেঙে চার হাত এক হলো দম্পতির

বিয়ে মানে দুই পরিবার, দুটি মানুষের মনের মিলন। চার হাত এক হওয়ার সাথে সাথে সাত জন্মের বাঁধনে আটকা পড়েন এক দম্পতি। তবে দিন বদলায়, সাথে সাথে মানুষের ভাব ভঙ্গি ও সমাজ চেতনার আমূল পরিবর্তন ঘটবে এত স্বাভাবিক। আর সেই ধারাকে অক্ষুন্ন রেখে এক নবকলবরে বিয়ের সানাই বাজালেন এক দম্পতি।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে ‘কনকাঞ্জলি’-র মতো রীতি বাদ রেখেই নতুন জীবনে পা রাখলেন এক দম্পতি। এমনকী, জীবনভর একে অপরকে ‘ভাতকাপড়’ জোগানোরও শপথ নিলেন তাঁরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

পাত্র, অর্কপ্রভ সিনহা পেশায় চিকিৎসক। আর পাত্রী, অচির্তা সিনহা সমাজকর্মী। বীরভূমের এই দম্পতি তাদের বিয়েতে দিনবদলের সানাই বাজালেন। তাদের বিয়েতে হয়নি কোন কন্যাদান, এমনকি অর্চিতা তার বাপের বাড়িতে কনকাঞ্জলি ও দেয়নি।অর্ক একা নন, বরং তাঁকেও জীবনভর ‘ভাতকাপড়’ জোগানোর শপথ নিয়েছেন অর্চিতা। এমনকী, বিয়ের উপহার হিসেবে চিকিৎসক-স্বামীকে দিয়েছেন স্টেথোস্কোপ।

সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে অর্চিতা জানানঅর্চিতা বললেন, ‘এই ভাবনা পুরোপুরি ছিল মামনির (শ্বাশুড়ি) যে, একটা ছেলেই কেন মেয়ের দায়িত্ব নেবে? একটা মেয়েরও ছেলের দায়িত্ব নিতে পারে। মামণির এই ভাবনায় আমি ভীষণই খুশি হয়েছি। বাড়িতে বলেছিলাম, কেন কন্যাদান হবে? কন্যা কি কোনও বস্তু? কোনও বস্তু বা দান করার বিষয় নয় যে, দান করে দিলাম, আর দান হয়ে গেল। বাড়ির লোক মেনে নিয়েছে। কনকাঞ্জলিও হয়নি। কারণ, বাবা-মা-র ঋণ চাল ফেলে বা লোক দেখিয়ে শোধ করা যায় না’। স্বামী অর্কপ্রভ স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানান। এমনকি বাড়ির সকলেই এই বিষয়কে মেনে নেন।

Back to top button