হঠাৎ করে বিয়ের পিঁড়িতে মা সিরিয়ালের ছোট্ট ‘ঝিলিক’! আইবুরোভাতের টাটকা ছবি দিতেই হইচই! পাত্র কে?

বাংলা ধারাবাহিক জগতের ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক সিরিয়াল ‘মা’ (Maa)। ছোট্ট ঝিলিকের ছোটবেলায় হারানো মাকে খোঁজার গল্প এই ধারাবাহিক। ছোট্ট ঝিলিকের চরিত্রে দর্শকের মনে পোক্ত জায়গা করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী তিথি বসু (Tithi Basu)। সেই ছোট্ট ঝিলিক এখন প্রাপ্ত বয়স্কা। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কেরিয়ার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চাও কম হয়নি।

ধারাবাহিকে যেমন ছোট বয়সে মাকে হারিয়েছিল ঝিলিক, সেরকমই অনেকটা ছোট বয়সে তাঁর মাকে ও তাঁকে ছেড়ে চলে যায় তার বাবা। তখন ঝিলিকের ক্লাস টেন। হঠাৎই তাঁর বাবা সিদ্ধান্ত নেন আর তাঁদের সঙ্গে থাকবেন না। তখন ছোট্ট ঝিলিককে সংসারের দায়িত্বও সামলাতে হয়েছে। জীবনে এত ওঠানামা দেখার পর, এই মুহূর্তে খানিক থিতিয়েছে তিথি। টুকটাক কাজও করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। অন্যদিকে, ইউটিউবও করছেন সিদ্ধ হস্তে।

মাঝে মাঝে সে সব পোস্ট করতে দেখা যায় দেখা ইনস্টাগ্রামে। সম্প্রতি, ঝিলিক পোস্ট করেছেন আইবুড়ো ভাতের ছবি। ক্যাপশনে তেমনটাই জানিয়েছেন তিথি। তাঁকে আইবুড়ো ভাত খাওয়াচ্ছেন হ্যাংলাবাজ ব্লগার ওরফে অর্পণ দাস। হাপুস হুপুস্ রেস্টুরেন্টে হয়েছিল এই মহাভোজের আয়োজন। গাঢ় নীল রঙা সালোয়ারে সেজে উঠেছিলেন তিথি। এদিনের সাজে ছিল রাণী রঙের ছোঁয়াও। তবে ক্যাপশনটা নেহাত মজা করেই লিখেছিলেন তিনি। এদিন ছিল নায়িকার জন্মদিনের মহাভোজ।

‘মা’ সিরিয়ালটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটা কমার্শিয়াল অ্যাড তিথি। মাঝে বাংলাদেশের টেলিফিল্ম ‘হৈমন্তী’তে অভিনয় করেছিলেন তিনি। শেষ তিথিকে দেখা গিয়েছিল স্টার জলসায় ‘ময়ূরপঙ্খি’ ধারাবাহিকে। তবে এই মুহূর্তে পড়াশোনার জন্য অভিনয় জগৎ থেকে খানিক দূরেই আছেন বড়বেলার ঝিলিক। নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলও আছে তাঁর।

সামাজিক মাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয় তিথি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিথির এহেন ছবি দেখে ভক্তদের মধ্যে জল্পনা তুঙ্গে। নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন, ছোট্ট ঝিলিক কি এবার আইবুড়ো নাম ঘোচাতে চলেছেন?
প্রসঙ্গত, শিশুশিল্পী হিসেবে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিথি। জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মা’ সিরিয়ালে তার অভিনীত ঝিলিকের হাত ধরে। ঝিলিকের মিষ্টতা গেঁথে গিয়েছিল সিরিয়াল প্রেমীদের মনে। এই সিরিয়ালে অভিনয় করেই ছোট পর্দার ঝিলিক ওরফে তিথি পেয়েছিলেন ‘সেরা অভিনেত্রী’র পুরস্কার। ছোট্ট মেয়েটির অভিনয় দর্শকমহলে বেশ প্রশংসনীয় হয়েছিল।

Back to top button