‘বদ্ধ হলে এসি ছাড়া পারফরম্যান্স করা ভীষণ কষ্টকর’,লিখলেন রূপঙ্কর বাগচী, ‘আপনি আর জ্ঞান দেবেন না’, চুপ করিয়ে দিল নেটিজেনরা

কলকাতার নামী দামী বিখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে রূপঙ্কর বাগচী অন্যতম। প্লেব্যাক ছাড়াও মাঝে মাঝে কলকাতায় এবং অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় বিভিন্ন লাইভ কনসার্ট বা অন্যান্য সংগীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাঁকে। যে কোন শিল্পীর কাছে এগুলোই বড় প্রাপ্তি যে যতটা কাছে থেকে নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে মিশে যাওয়া যায়।

তবে এই অনুষ্ঠান করতে এসেই মৃত্যু হয়েছিল বলিউডের বিশিষ্ট শিল্পী কেকের। তারপর থেকে লাইভ কনসার্ট নিয়ে আয়োজক থেকে শুরু করে শিল্পীরা সকলেই সতর্ক হয়ে পড়েছেন আরো বেশি করে। এক্ষেত্রে ঠিক কোন কোন বিষয় নজরে রাখা উচিত? এক সংবাদমাধ্যমের হয়ে কলম ধরলেন এবং এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন রূপঙ্কর বাগচী নিজে।

একজন গায়ক মঞ্চে লাখ লাখ দর্শকের সামনে গান গাইছেন ক্রমাগত একের পর এক, সেখানে দর্শকদের উতসাহ-উদ্দীপনা এবং হাততালি তাঁর কাছে সব থেকে বড় প্রাপ্তি। এতে শিল্পীর প্রাণশক্তি বেড়ে যায়।

কিন্তু এই দু তিন ঘন্টা স্টেজে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত সুর দিয়ে মঞ্চ কাঁপিয়ে পারফর্ম করা চাট্টিখানি কথা নয়। একজন পারফর্মার নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে মানুষকে বিনোদন দেন। তা করতে গিয়ে যথেষ্ট কষ্ট করতে হয় তাঁকেও। তাইতো তাঁর নিরাপত্তার দিকটা ভুলে গেলে চলবে না।

এক্ষেত্রে রূপঙ্কর পরামর্শ দিয়েছেন উপস্থাপনার পাশাপাশি শরীরের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। যেসব অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক ধকল হয় সেখানে নিজের প্রতি আগে থেকেই একটু বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে নিজের থেকেই আগে জল বা গ্লুকোজের ব্যবস্থা করে রাখতে হবে অথবা আয়োজকদের বলে এই ব্যবস্থাগুলি করে রাখতে হবে। লাইভ অনুষ্ঠান করার সময়ে শারীরিক ধকল যায়। তাই শক্তিবর্ধক কিছু খাবার-দাবার সঙ্গে রাখতে হয় যেমন কলা বা ডার্ক চকলেট।

অন্যদিকে কোনও শিল্পী যদি বন্ধ হলে পারফর্ম করেন সেটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হতেই হবে আর যদি কোনওভাবে এসি কাজ না করে তাহলে সেটা ভীষণ কষ্টকর হয়ে ওঠে বলে জানালেন রূপঙ্কর বাগচী। সর্বোপরি তিনি সকল শিল্পীদেরকে নিজের যত্ন নেওয়ার উপদেশ দিলেন।

Back to top button