EXCLUSIVE Riju Biswas: এবার সরাসরি বড়পর্দা! কেরিয়ারের “সিঁড়ি” ভেঙে উপরে উঠে এলেন সকলের প্রিয় “নিখিল” ঋজু! নতুন লুকে নতুন কাজের ছবি পেলাম আমরা
জীবনের সিঁড়ি ভাঙতে চলেছেন ঋজু বিশ্বাস। শুরুটা ছোটপর্দা আর এবার কিছুদিনের মধ্যেই দর্শক বড় পর্দায় দেখতে পাবে সকলের প্রিয় নিখিল অর্থাৎ অভিনেতা ঋজু বিশ্বাসকে সম্পূর্ণ অন্য লুকে। পরিচালক অভিজিৎ নায়েক পরিচালিত ‘সিঁড়ি’ ছবির মাধ্যমেই তিনি বড়পর্দায় পা রাখলেন।
এখানে ঋজুর বিপরীতে রয়েছেন অভিনেত্রী তুহিনা দাস। এছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন ইন্দ্রজিৎ মজুমদার, মানসী সিনহা, সুমিত গাঙ্গুলী প্রমুখ অর্থাৎ একেবারে চাঁদের হাট। এই ছবির গল্প বর্তমান সমাজের সম্পর্কের টানাপোড়েনের ওপর ভিত্তি করে। আর সেই নিয়েই আমাদের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে “সপ্তক” অর্থাৎ অভিনেতা ঋজু বিশ্বাস।
প্রথমেই জানতে চাইবো তোমার চরিত্রটি নিয়ে
ঋজু- চরিত্রটি খুবই ইন্টারেস্টিং। সম্পর্কের পরিবর্তন নিয়ে এই গল্প তৈরি হয়েছে। এখানে বেশ কয়েক বছর সময়ের পরিবর্তন দেখানো হবে আর যেখানে আমাদের লুক গুলোকেও পরিবর্তন করা হবে আর সেটা খুবই ইন্টারেস্টিং। এই ছবির গল্প বর্তমান সময় থেকে শুরু করে অতীতে যাচ্ছে যার জন্য গল্পটি খুবই অন্যরকম হতে চলেছে। একসাথে দু’রকম বয়সের চরিত্রে অভিনয় করার ব্যাপারটাই খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। আসলে সপ্তকের চরিত্রটি এতটাই মিষ্টি যে যারাই দেখবে তারাই ভালোবেসে ফেলবে। দুটো লুক রয়েছে আমার। একটা ৪৫ বছরের।
গল্পটা যদি একটু সংক্ষেপে বলো?
ঋজু – পুরো গল্পটাই তৈরি হয়েছে সম্পর্কের ওপরে। আসলে আমাদের জীবনে অনেক ধরনের সম্পর্ক হয়। কিছু সম্পর্ক সময়ের সাথে সাথে বদলে যায় আবার কিছু সম্পর্ক এমন হয় যেগুলি অনেকদিন যোগাযোগ না থাকলেও হয়তো একই রকম থেকে যায়। এই গল্পটা পুরোটাই একটা মহিলার জীবনকে কেন্দ্র করে। সে সিঁড়ি চড়তে শুরু করে কিন্তু একটা সময় সে যখন ভুল করে তখন তাকে একটা মানুষ বলে যে তুমি ভুল করছ। কিন্তু সে তার কথা শোনে না। পরবর্তী দিনে তার কাছেই তাকে আবার ফিরে আসতে হয়। আমাদের জীবনে এমন অনেক সম্পর্ক থাকে যেগুলি অনেক বছর পরে কথা বললেও মনে হয় যেন সেই সম্পর্কের মধ্যে কোনরকম বিরতি আসেনি। আর ঠিক তেমনই একটি সম্পর্কের গল্প নিয়ে আসছে এই ছবি।
এই গল্পটা কি তোমার মনে হয় যে এখনকার প্রজন্মের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক?
ঋজু – হ্যাঁ তা তো মনে হয়। এখনকার লোকজনের মনে নাই হতে পারে কারণ এখনকার মানুষদের মধ্যে ফিলিংস অনেকটা কম। আসলে বর্তমানে আমাদের মানুষের প্রতি মানসিক টানটা অনেকটা কমে গেছে। আর এই টানটা কমে যাওয়ার কারন কিন্তু আমরাই। আসলে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছি বা এর মধ্যে এতটাই ঢুকে গেছি যে আমাদের নিজেদের মানুষদের প্রতি টান অনেক কমে গেছে।
সাক্ষাৎকার: তিতলি ভট্টাচার্য