কী ভয়ানক! কোভিশিল্ড নয়, মিমিকে দেওয়া হয়েছে পাউডার গোলা জল! তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

শহর কলকাতার বুকে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের নিজেদের উদ্যোগে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। এরকমই একটি সংস্থার উদ্যোগে হাজির হন যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বাকিদের ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি নিজেও সেই ক্যাম্পে অংশ নেন।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে ফোনে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয় অভিনেত্রীর, তারপরেই ভুয়ো ভ্যাকসিন প্রকল্প বন্ধ করেন অভিনেত্রী। খোদ কলকাতার বুকে ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতারিত হলেন অভিনেত্রী সাংসদ ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।অভিনেত্রীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনুরাগীরা।

তবে মিমি আশ্বস্ত করেছেন সকলকে, অনুরাগীদের উদ্দেশ্য ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ‘আমি সুস্থ আছি। যাঁরা সেদিন ভ্যাকসিন নিয়েছি আমরা সবাই প্রতারিত। প্যানিক করবেন না। আমি যখন সুস্থ আছি আপনাদেরও কিছু হবে না।’

মিমি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সাথে কথা বলেছেন এবং আশ্বস্ত করেন টিকা জাল হলেও শরীরের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।তবে এ ব্যাপারে তদন্ত হবে।

পুরসভার প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কসবার ওই টিকা কেন্দ্র থেকে কোভিশিল্ড দেওয়া হয় নি,অনুমান করা হচ্ছে, কোনও হাম বা বিসিজি জাতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। জলের সাথে পাউডার এবং লিকুইড মিশিয়ে টিকা দেওয়া হয়েছে।টিকার কোনও ভায়ালেই ছিল না ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, এক্সপায়ারি ডেট। ছিল না ব্যাচ নম্বরও।

পরবর্তীকালে জানা যায়, এনক্যাসিন ৫০০ নামে একটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের নামে।

বুধবার সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে মিমি জানান, একটি তৃতীয় লিঙ্গ, রূপান্তরকামী এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ভ্যাকসিন নিলে বাকিরা উদ্বুদ্ধ হবেন, তাই তিনিও অংশগ্রহণ করেন।কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মেসেজ না আসায় যোগাযোগ করেন তিনি। তাকে বলা হয় তিনদিনের মধ্যে চলে আসবে, পাল্টা মিমি বলেন সাথে সাথে আসার কথা।

পুরো বিষয়টা জানিয়ে পুলিশের কাছে যান মিমি। তারপরেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মিমি জানান,তাঁকে বলা হয়েছিল জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের উদ্যোগে এই ভ্যাকসিনেশন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ওই শিবির থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জন দেব নামক ভুয়ো অফিসারকে। তিনি নিজেকে IAS বলেই পরিচয় দেন। ওই টিকা কেন্দ্রের জন্য কোনো অনুমতি ছিল না কলকাতা পৌরসভার। জাল পরিচয়পত্র ও ভারত সরকারের লোগো দেওয়া একটি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ।দেবাঞ্জনের থেকে উদ্ধার হওয়া পরিচয় পত্রে পুলিশ কমিশনারের স্বাক্ষর পাওয়া গেছে।তিনি নিজেকে অ্যাস্টিন্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ বলেও পরিচয় দেন। আপাতত পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

Back to top button