‘আমাকে আর কেউ ডাকে না, আর ফ্রি সিনেমা দেখতে যাই না’! অবসাদ গ্রাস করেছে পার্ণো মিত্রকে

টেলিভিশন থেকে সিনেমায় হয়েছিল তার সফল পদচারনা। একটা সময় পর্দা ছেড়ে তিনি বিরাজ করতে শুরু করেছিলেন মানুষের মনের অন্দরেও। আর আজ কোথাও যেন দেখা মেলে না সেই মুখটার। তিনি বাংলার জনপ্রিয়তম অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র (Parno Mittra)। তবে জনপ্রিয় হওয়ার থেকেও বেশি তিনি প্রতিভাবান। তার অভিনয় দক্ষতা প্রশ্নাতীত।

রবি ওঝার বাংলা সিরিয়াল খেলা দিয়ে প্রথমবারের মতো পর্দায় এসেছিলেন পার্ণো। পরবর্তীতে পা রাখেন সিনেমায়। একটা সময় অঞ্জন দত্তের ঘরের মেয়ে বলা হত তাকে। কিন্তু আজকাল আর সেই অঞ্জন দত্তের ব্যানারেও দেখা মেলে না অভিনেত্রীর। যদিও আশাবাদী অভিনেত্রী বলেন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে কখনও অঞ্জনদার সঙ্গে আবারও কাজ করব।

টলি পাড়ায় কান পাতলে শোনা যায় অবসাদ গ্রাস করেছিল অভিনেত্রীকে। অভিনেত্রীর কথায় মানুষ যেরকম অন্যান্য শরীর খারাপের জন্য ডাক্তার দেখাতে চায় মানসিক অবসাদের ক্ষেত্রে তেমনটা যায় না কিন্তু যাওয়াটা উচিত বলে মনে করেন তিনি। এমনিতে ভীষণ রকমের চুজি অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র। আর সেই জন্যই নাকি তার কাজের সংখ্যা এত কম। তবুও অভিনেত্রী বলেন আগে আরও বেশি বেছে বেছে কাজ করতেন। তার কথায় যদি তার কাছে এমন সুযোগ থাকত যে তিনি বছরে একটা বা তিন বছরে একটা ছবি করলেই তার চলে যেত তাহলে তিনি তেমনটাই করতেন। কিন্তু এক বছরে দুটো বা তিনটি ছবি তিনি করেন এটাই তার কাছে বিশাল পাওয়া এর থেকে বেশি কাজ নেই করতেও চান না।

এমনকি টলি পাড়ার কোন‌ও সিনেমার সাকসেস পার্টিতে বা কোন ছবির প্রিমিয়ারেও দেখা যায় না পার্ণোকে। এই বিষয়ে অভিনেত্রীর জবাব প্রিমিয়ারে গিয়ে ছবি দেখা হয় না। অত সেজেগুজে লোকের ভিড়ে আর যাই সিনেমা উপভোগ করা যায় না। আর আমি সিনেমা উপভোগ করতে যাই। আর সেই কারণেই প্রিমিয়ারে না গিয়ে টিকিট কেটে সিনেমা দেখতে চাই আমরা টিকিট কেটে সিনেমা দেখি বলেই তো সাকসেস পার্টি হয়। আর অভিনেত্রী কোথাও যান না বলে, এখনকার ডাকটাও পান না কারর থেকে।

আরো পড়ুন: ‘আপনার হনুবাবুর জন্য আপনাকে বাঁচতে হবে’! মৃত্যুমুখে সন্ধ্যা, বাইরে অঝোরে কাঁদছে আকাশ! আজ দারুণ পর্ব

ভীষণ রকম প্রাইভেট পার্সেন অভিনেত্রী পারমিত্র একই রকম ভাবে স্পষ্টবাদী। অভিনেত্রীর কথায় আমি মুখরা বা ঝগড়ুটে নই আমি স্পষ্টবাদী। যে জায়গায় যে কথাটা বলা উচিত সেটা আমার মুখ দিয়ে বেরিয়েই যাবে আমার নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমি মানুষটাই এমন। একমাত্র মৈনাক ভৌমিক ছাড়া টলিপাড়ায় তার সেই রকম গভীর বন্ধুত্ব কারর সঙ্গেই নেই অভিনেত্রীর। তার কথায় মৈনাক অনেকটা আমার অভিভাবক। আমার মধ্যে কিছু চললে সেটা আমি মুখে না বললেও ও বুঝে যায়। যদিও রাইমা, মিমি, সোহিনীর সঙ্গে অভিনেত্রীর বেশ ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

Back to top button