টলিউডের কাজের চাপ সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের ঝামেলা, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী হালদারও, বাঁচিয়ে ছিলেন টলিপাড়ার এই নামকরা অভিনেতা!আজও তার কাছে কৃতজ্ঞ শ্রীময়ী

টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীর মধ্যে একজন ইন্দ্রানী হালদার। কাজের তালিকায় রয়েছে একগুচ্ছ হিট সিনেমা। পাশাপাশি একই দাপটে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দায়। গোয়েন্দা গিন্নি, শ্রীময়ী ধারাবাহিকগুলি শেষ হয়ে গেলেও আজও একইভাবে জনপ্রিয় বাঙালি দর্শকদের মধ্যে।

ইন্দ্রানী এবার মুখ খুললেন পরপর টলি অভিনেত্রীদের মৃত্যু বলা ভালো আত্মহত্যাকে নিয়ে। এঁদের মৃত্যুতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইন্ডাস্ট্রি কতটা দায়ী? সেই নিয়ে একটি বিশেষ আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়। এককাট্টা ফেডারেশন, আর্টিস্ট ফোরাম এবং বাংলা চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে এই আলোচনার আয়োজন করে মহিলা কমিশন।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন টলিউডের গণ্যমান্য কলাকুশলীরা। ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও অন্য সদস্যরা, ফেডারেশনের থেকে স্বরূপ বিশ্বাস, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়, আর্টিস্ট ফোরামের তরফে ইন্দ্রাণী হালদার, সোহিনী সেনগুপ্ত, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, শঙ্কর চক্রবর্তী, লাভলী মৈত্র, দিগন্ত বাগচী, বিনোদন চ্যানেলের প্রতিনিধি কৌস্তুভী ঘোষ প্রমুখ।

ইন্দ্রানী আলোচনার মাঝে জানিয়েছেন তখন তিনি ক্রমাগত ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। সিনেমায় ভালো কাজ পাচ্ছিলেন না। ভালো পরিচালকেরা তাঁকে ডাকছে না। তখন তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। এই কথা তিনি জানিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। উত্তরে সৌমিত্র জানিয়েছিলেন তিনি সত্যজিৎ রায়ের ছবির নায়ক। সংগ্রহে রয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। তবুও এখনও লড়াই করতে হচ্ছে।

সৌমিত্রর সেই মন্তব্যের পর থেকে ধৈর্য ধরতে শিখেছেন ইন্দ্রানী। খারাপ সময়ে অপেক্ষায় থেকেছেন যে ভালো সময় হাসবেই। ইয়াকি অনুপ্রেরণা তিনি পৌঁছে দিতে চান নতুন প্রজন্মের কাছে। ভাল সময় উপভোগ করলে খারাপ সময়েও নিজেকে শক্ত রাখতে হবে। জনপ্রিয়তা, মুঠো মুঠো বিজ্ঞাপনী ছবি, মাচার অনুষ্ঠান ভালো মনে করতে হবে।

যখন ধারাবাহিক ‘তেরো পার্বণ’-এ অভিনয় করছিলেন ইন্দ্রানী সেসময় সবাই বলত সিনেমায় নেমেছে। কিন্তু এখন নায়িকার দাবি সিনেমার হাত ধরে উপরে উঠে যায়। যশ, প্রতিপত্তি লাভ করা যায়।তাই ইন্দ্রানী অনুরোধ করেছেন যে খারাপ সময় এলে আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা না করতে।

Back to top button