ফের দুঃসংবাদ! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক! মাতৃহারা যীশু সেনগুপ্তর স্ত্রী নীলাঞ্জনা

টলিপাড়ায় (Tollywood) নেমে এসেছে দু’সময়। একের পর এক দু‘সংবাদ আসছে টলিপাড়া থেকে। সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল অসুস্থ মাধবী মুখোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী। পরলোক গমন করেছেন অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার। তারপরই টলিপাড়া থেকে ভেসে আসল আরেক শোকের সংবাদ। জানা যাচ্ছে প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক।

নাতনি সারা সেনগুপ্ত, মেয়ে নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের সঙ্গে তার একটু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে পরিচালক সৃজিত মুখার্জী। পায়ের পথ অনুসরণ করেই অভিনয় পথে পা রাখেন অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা। তবে তিনি বহুদিন আগেই অভিনয় ছেড়ে দেন। বর্তমানে তিনি যীশু সেনগুপ্তর প্রযোজনা সংস্থা সামলান। বহু ধারাবাহিক ইতিমধ্যেই প্রযোজনা করেছেন তিনি।

১৯৪৪ সালে ৩০শে ডিসেম্বর এই কালজয়ী অভিনেত্রী জন্মগ্রহণ করেন কোচবিহারে। তার আসল নাম আরতি ভৌমিক এবং তার ডাকনাম বাবলি। ১৯৬১ সালে কোচবিহারের সুনীতি একাডেমী থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। তারপর কলকাতায় আসে দমদমের সরোজিনী নাইডু কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন তিনি। অভিনয় জগতে তিনি পা রাখেন মাত্র ২০ বছর বয়সে। নৌবাহিনীর কর্মকর্তা অনিল শর্মাকে বিবাহ করেন তিনি। তাদের দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে নীলাঞ্জনা এবং চন্দনা।

তার প্রথম সিনেমা অনুষ্টুপ চন্দ্রে অভিনয়ের সময় আরতি নাম পরিবর্তন করে তিনি তার নাম রাখেন অঞ্জনা ভৌমিক। তারপর একের পর এক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে তার জুটি মন জিতে নিয়েছিল দর্শকদের। থানা থেকে আসছি, রৌদ্র ছায়া, সুখ সারি, কখনও মেঘ, নায়িকা সংবাদ, চৌরঙ্গী সহ একাধিক সিনেমায় তাদের জুটি মন ছুঁয়েছে দর্শকদের। এছাড়াও মহাশ্বেতা, ভাগ্যলিপি, দিবা রাত্র কাব্য, প্রেমের বসন্ত, রাজদ্রোহী, নিশিবাসর, গৃহসন্ধানী সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে তিনি নথিভুক্ত করেছেন তার নাম সেরার তালিকায়।

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেত্রী। গত ৫ মাস ধরে তিনি একপ্রকার শয্যাশায়ী অবস্থায় ছিলেন অভিনেত্রী। শুক্রবার রাতে শ্বাসকার্য জনিত সমস্যার কারণে তাকে ভর্তি করা হয় দক্ষিণ কলকাতার হাসপাতালে। শনিবার সকালেই ৭৯ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন অভিনেত্রী। মেয়ে নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত এবং জামাতা যীশু সেনগুপ্ত রয়েছেন হাসপাতালে। এছাড়াও সৃজিত মুখার্জী, অরিন্দম শীল সহ অনেক পরিচালক এবং কলাকুশলীরা পৌঁছেছেন হাসপাতালে। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

Back to top button