ইমনের নাম নিয়েও কেকে’কে কটাক্ষ রূপঙ্করের! ‘প্রচন্ড বিব্রত আমি’, মুখ খুললেন লজ্জিত আরেক জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি গায়িকা ইমন চক্রবর্তী

গতকাল কলকাতায় জীবনের শেষ লাইভ কনসার্ট সফলভাবে করে গেলেন সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকে। সেই কনসার্টের পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো কেকেপ্রেমীদের। কারণ তারপরেই এলো সেই হৃদয় বিদীর্ণ করা সংবাদ- কেকে আর নেই।

কেউ কেউ হয়তো তখনও বাড়ি ফিরতে পারেননি অনুষ্ঠানের পর। কেউ কেউ সদ্য বাড়ি পৌঁছে টিভি খুলেই হতবাক। জ্বলোজ্যান্ত সেই ব্যক্তিত্বকে আর দেখা যাবে না “তু আশিকি হ্যায়”, “অভি অভি”, “দিল ইবাদত”, “ইয়ারো দোস্তি” গাইতে! অথচ মৃত্যুর আগের কিছু মুহূর্ত পর্যন্ত এই গানগুলি গেয়েই স্টেজ কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন সেই শিল্পী।

তবে কলকাতার বুকে বলিউডের শিল্পীদের আনা, বাঙ্গালীদের বলিউডের শিল্পীদের প্রতি ঝোঁক বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলার অন্যতম পরিচিত সংগীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী। ফেসবুক লাইভে তিনি এমন কিছু মন্তব্য করে বসে নেই এমন কিছু প্রশ্ন তোলেন জানিয়ে কটাক্ষের ঝড় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঠিক তার পরেই এই শোক সংবাদ।

সোমবার বাংলার একাধিক শিল্পীর নাম উল্লেখ করে কেকেকে কটাক্ষ করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। সে তালিকায় রয়েছেন বিশিষ্ট বাঙালি গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। এবার রূপঙ্করের ওই বিশেষ মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন ইমন।

জাতীয় পুরস্কার জয়ী শিল্পী ইমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন লাইভে রূপঙ্কর তাঁর নাম নিয়েছেন এটা নিয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। তবে রূপঙ্কর যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন তাতে তিনি যথেষ্ট বিব্রত বোধ করছেন। ইমন নিজেও কেকের ভক্ত। দিন কয়েক আগে একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছেন। এছাড়া জি বাংলার সা রে গা মা পা শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিশেষ অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন কেকে। তাই সেই সুবাদে শিল্পীকে বেশ কিছুটা কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল ইমন চক্রবর্তীর।

ইমন জানিয়েছেন অত্যন্ত ভদ্র এবং ভালো মানুষ ছিলেন কেকে। একটা অনুষ্ঠানে কেকের আগে গান গাইতে উঠেছিলেন ইমন। শিল্পী যন্ত্রশিল্পীরা মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে ইমনের গান শুনে ছিলেন। গান শেষ হবার পর কেকের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ইমন। তিনি প্রশংসা করেছিলেন ইমনের গায়কীর। শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্যে শ্রদ্ধা এগুলো তো থাকবেই, দাবি করেন ইমন।

ইমন এও জানিয়েছেন যে কেকের যদি এভাবে মৃত্যু না হতো তাহলেও রূপঙ্কর বাগচীর বক্তব্যে তিনি অস্বস্তি বোধ করতেন। একজন শিল্পীর উপার্জন, জনপ্রিয়তা নিয়ে কটাক্ষ করা উচিত নয়। এগুলি যার যার নিজস্ব কর্মফল, জানালেন ইমন চক্রবর্তী।

Back to top button