দত্ত বাড়িকে বাজুরিয়া প্রোমোটারের হাত থেকে বাঁচিয়ে পর্ণা কি পারবে কৃষ্ণার মন জয় করতে?

বাংলা ধারাবাহিক (Bangla Serial) যা সর্বদাই বাঙালির সন্ধ্যেকে আরো মনোরঞ্জনমূলক করে তোলে, তার মধ্যে জী বাংলার (Zee Bangla) র ধারাবাহিকগুলির ভূমিকাও অপরিহার্য। তবে এরকমও কিছু ধারাবাহিক আছে যা শুরু হবার পর থেকেই মানুষের মধ্যে তার এক নিবিড় জায়গা করে নিয়েছে, সেরকমই একটি ধারাবাহিক হলো নিম ফুলের মধু (Neem phooler Modhu) ধারাবাহিকটি।

পর্ণা ও সৃজনের মিষ্টি মধুর প্রেম কাহিনীতে বার বার এসেছে বিপত্তি, বর্তমানে দত্তবাড়িতে আছড়ে পড়া সেই বিপত্তির নাম হচ্ছে ঈশা যে কিনা বার বিভিন্ন ভাবে পর্ণার সংসারে সৃষ্টি করছে সমস্যা। কখনো সৃজন -পর্ণার শাড়ির কথার নতুন গোডাউন পুড়িয়ে, তো কখনো বা অখিলেশ দত্ত অর্থাৎ সৃজনের জেঠুর দোকানের মশলায় ভেজাল মিশিয়েই খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক দ্বারা সৃজনকে গ্রেফতার করিয়েই হোক, বার বার ঈশা নানানভাবে পর্ণাকে ফেলছে বিপদে।

বর্তমানেও মিস্টার বাজুরিয়া অর্থাৎ প্রোমোটার বাজুরিয়ার সাহায্যে দত্ত বাড়ি কেড়ে নিয়ে পর্ণাকে পথে বসানোর নতুন পরিকল্পনা করেছে ঈশা। যেহেতু বাজুরিয়ার নজর আগে থেকেই দত্ত বাড়ির ওপর ছিল তাই তার সাহায্যেই দত্ত বাড়িতে নতুন ঝড় তুলেছে ঈশা। সৃজনকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে না আনতেই দত্ত বাড়িতে এসে হাজির বাজুরিয়া।

গল্পের নতুন পর্বে শুরুতেই দেখা যায়, অখিলেশ দত্ত হতাশ অবস্থায় বসে আছেন বাড়িতে, পর্ণাকে দেখেই তিনি চিৎকার করে উঠে পর্ণাকে বলেন ওঠেন যে করেই হোক তার দোকান তাকে একদিনের মধ্যে ছাড়িয়ে দিতে, পর্ণা জ্যেঠুকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে তবে তিনি কিছুই শুনতে চান না। পরে সৃজন পর্ণাকে তার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরে কেউ চেনা আছে নাকি জিজ্ঞাসা করে কিন্তু তাকে নাকোচ করে পর্ণা বলে যে পরিচিত থাকলেও কিছু করার নেই কারণ এটা এত বড় বিষয় হয়ে গেছে এখন যে এইভাবে সামলানো মুশকিল।

তখনই সৃজন পর্ণাকে সন্দেহের কথা জিজ্ঞাসা করতেই পর্ণা ঈশার নাম বলে ওঠে, পর্ণা বলে প্রমাণ না থাকলেও সে নিশ্চিত আর পিছনে ঈশার হাত আছে। ওদিকে অয়ন আর মৌমিতা ঈশার সাথে কথা বলতে থাকে, তারা ঈশাকে জিজ্ঞাসা করে যে আর পিছনে ঈশার হাত আছে কিনা যদিও ঈশা পুরো বিষয়টি নাকোচ করে এবং দুঃখিত হবার নাটক করতে শুরু করে। ঈশার কথায় মৌমিতা আর অয়ন ভেবে নেয় যে আর পিছনে ঈশার হাত নেই যদিও তাদের যাবার পরই ঈশা মনে মনে বলে ওঠে যে সে পুরো দত্ত বাড়িকেই পথে বসাবে।

এদিকে দত্ত বাড়িতে জেঠি জেঠুকে বাজার যাবার কথা বলতে এলে তিনি রেগে বলেন তাদের আর্থিক অবস্থার কথা। দোকান নেই, তাই তাদের অর্থ উপার্জনের রাস্তাও এখন বন্ধ, সেটা দেখে সৃজনও বলে ওঠে এসব তার জন্য হয়েছে যদিও কৃষ্ণা সৃজনকে থামিয়ে দেন, তখনই বাড়িতে শাক সবজি নিয়ে হাজির হন বাজুরিয়া, জানান যে তাকে বাড়ি খালি করে দিতে অয়ন, অখিলেশ তাকে সমর্থন করলেও পর্ণা ও সৃজন সম্মতি দেয়না তখনই বাজুরিয়া তাদের জানান যে হয় বাড়ি খালি করতে নাহলে তাকে সব টাকা ফেরত দিতে। তার যাবার পর পাড়ার মানিক দা আসেন প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনের জন্য আর তখনই ফিরে আসে চয়নও এবং বলে বাড়িও ফেরত পাবে তারা আর জিলিপি হবে। এইখানেই শেষ হয় পর্বটি। পর্ণা কি সত্যিই পারবে বাজুরিয়ার হাত থেকে দত্ত বাড়ি বাঁচাতে, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরের পর্ব পর্যন্ত।

Back to top button