এবার বধূ নির্যাতনের শিকার তারা,কী করে বেরিয়ে আসবে এই পরিস্থিতি থেকে?

সন্ধ্যা-তারা দুই বোন। একে-অপরকে খুব ভালবাসে তারা। একে-অপরের জন্য সবকিছু করতে পারে। এমন কি এক সময়ে নিজের ভালবাসাকে দিদির হাতে তুলে দিতে দু’বার ভাবেনি তারা। ছোট বোন তারার সঙ্গে প্রেম থাকলেও, সেজদি সন্ধ্যার জন্য বিয়ের সমন্ধ আসে নীলের। আর এক ঝলকে নীলের ছবি দেখে প্রেমে পড়ে যায় সন্ধ্যা। পরে তারা এবিষয়ে সবটা জানতে পারলেও দিদির কষ্ট পাবে বলে মুখ খোলেনা সে। তারপরই আদ্যোপান্ত জীবনটা বদলে যায় দুই বোনের। গল্পের এই মোড় আসতেই টিআরপিতেও আসন পাকা করে ধারাবাহিক ‘সন্ধ্যাতারা’ (Sandhyatara)।

সন্ধ্যা আর নীলকে আশীর্বাদ করতে এসেছে সকলে। বিজয়া মাঠান আশীর্বাদ করতে এসে একটি সোনার বালা দিতে চায় সন্ধ্যাকে। কিন্তু সন্ধ্যা তা নেয় না। বলে,”আমার এই মুহূর্তে দরকার আমার স্মৃতির। আপনারা তো তা নিয়ে কোনো কথাই বলছেন না। আমি আধেও এই বাড়ির মেয়ে কিনা এখনও তাই সন্ধেহ।” সন্ধ্যার কথা শুনে মাঠান বলে, সন্ধ্যা জানেনা ও কি মিস করল!

তারপর মনে মনে ভাবে, সন্ধ্যার স্মৃতি ফিরে আসছে না যখন এ এক বিপদ। আবার স্মৃতি ফিরে এলে অন্য এক বিপদ। এই সময় বিজলীর ভাই আসে বিজয়া মাঠানের কাছে। দুঃখ করতে থাকে এবার তাঁদের সংসারটার কী হবে। কারণ, এতদিন চাষবাস করেই সংসার চালাত তারা। সন্ধ্যাই চাষবাসের সবটা নজরদারি করত। এখন তো সে সব ভুলে গিয়েছে। এখন তাঁদের সংসারটার কী হবে। এসব কথা সবই আড়াল থেকে শোনে সন্ধ্যা।

বিজলীর ভাইকে এসব শুনে নীল বলে,”কেন? আমি চাষ করব। সন্ধ্যা এতদিন যা যা করত তার সব দায়িত্ব আমার।” বিজলীর ভাই বলে, তাদের দিদি আসলেই অনেক ভাগ্যবতী। তারা নীলের মত জামাইবাবু পেয়ে ধন্য। এই কথা হয়ে নীল চলে যায় সন্ধ্যার নিরামিষ রান্না করতে।

অপরদিকে,বিয়ের পরের দিন তারাকে দেরি করে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে রে রে করে আসে তাঁর শাশুড়ি। তারা বলে, “আসলে কাল অনেকটা পথ হেঁটে আসতে হয়েছে তো! তাই ক্লান্ত আমি। ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।” ললিতা দেবী বলে, তোমায় বলেছিলাম না সকাল সকাল উঠে বিজয়া মাঠানের কাছে যাবে আর আমার অঙ্কনের জন্য একটা সুন্দর গাড়ি নিয়ে আসবে? তখন তারা বলে আমি এসব করতে পারব না।

আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা নবনীতা! জিতুর সঙ্গে বিচ্ছেদের মাঝেই সন্তান সম্ভবা অভিনেত্রী! অনাগত সন্তানের বাবা কে?

এদিকে তারার কাছে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছোতে থাকে বিজয়া মাঠান। কিন্তু ঈশ্বর এসে বলে ড্রাইভার গ্রামের বাড়ি চলে গিয়েছে। তাই এখন কোথাও যাওয়া যাবে না। কিন্তু বিজয়া মাঠানের মনটা উশখুশ করতে থাকে। তারাকে ও বাড়ি পাঠিয়ে মোটেই নিশ্চিন্তে নেই মাঠান। তাই ফোন করে ঘটককে নিজের বাড়ি পাঠায় সে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Star Jalsha (@starjalsha)

Back to top button