মাথায় হাত কাকীয়া-তিস্তার! অর্জুনকে বিয়ে করে সেনগুপ্ত বাড়িতে উঠল দীপা

ধামাকাদার পর্ব স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-এ (Anurager Chhowa)। শেষমেশ এক হল দীপা আর অর্জুন। বাড়ির সকলের সামনে এক মাথা সিঁদুর পরে মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বেরিয়ে এল দীপা। পরিবারে খুশির আমেজ। অনেকদিন পর সবকিছু তাদের মন মোতাবেক চলছে।

ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, রূপার কথা মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হয়েছে অর্জুন। মুখে কিছু না বললেও মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে নিমরাজি হয়েছে দীপা। কারণ রূপা শর্ত রেখেছে তার মা আর অর্জুন বিয়ে না করলে সে অপারেশন করাবে না। ধারাবাহিকের দর্শকরা ইতিমধ্যেই অবগত বিরল রোগে আক্রান্ত রূপা।

দিনদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। যত শীঘ্র সম্ভব তাদের অপারেশন করানো দরকার। কিন্তু রূপা নাছোড়। সে অপারেশনের আগে শর্ত চাপিয়েছিল অর্জুন আর তার মা বিয়ে না করলে সে অপারেশন করাবে না। তাই রূপার মন রক্ষা করতে অর্জুন আর দীপার এই নাটক। মন্দিরের গর্ভগৃহে দীপার বাবাকে সাক্ষী রেখে নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর তুলে নিয়েছে সে। সবটাই রূপার জন্য।

বিয়ের পর মেয়েরা শ্বশুরবাড়িতে যায়। খোকা যখন দীপা আর তার দুই মেয়ে সোনা-রূপাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তোলে তখন অর্জুনের একটি জরুরি ফোন আসে। বলে দিন দুয়েকের জন্য তাকে শহরের বাইরে যেতে হবে। একটা ইমার্জেন্সি কেস চলে এসেছে। তাই ঠিক হয় আপাতত দীপা সেনগুপ্ত বাড়িতে থাকবে।

আরো পড়ুন: আমি নিজেই রাজনীতির শিকার! এখন সবাই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে টাকা রোজগারে ব্যাস্ত! অকপট স্বর্নযুগের শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়

এদিকে, লাবণ্য সেনগুপ্ত এসেছে জানতে পেরে ইরাকে নিয়ে কলকাতায় এসেছে সূর্য। যাওয়ার পথে মন্দিরটি দেখতে পায় সে। একবার মন্দিরে মায়ের পায়ে মাথা ঠেকিয়ে আসতে উদ্যত হয়ে এলে, সূর্য দেখে দীপার বিয়ে হয়ে গেছে। সে বুঝতে পারে অনেক দেরি করে ফেলেছে সূর্য। আসলে দীপাকে দিনের পর দিন ভুল বুঝে এসেছে সে। ভালোবাসার মানুষকে অন্যের হতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। অন্যদিকে, দীপাও বুঝতে পারে না অর্জুনের সঙ্গে বিয়ের মেকি নাটক সে কতদিন বয়ে নিয়ে যেতে পারবে!

Back to top button