বৌমার বাজিমাত! প্রাণপ্রিয় শ্বশুরমশাই অমিতেশ দত্তকে নির্দোষ প্রমাণ করে আসল অপরাধীকে ধরিয়ে দিল পর্ণা!

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Madhu) ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে নতুন মোড়। গ্রেফতার হয়েছেন অমিতেশ দত্ত। তাকে ছাড়াতেই পর্ণা(Parna) বাধ্য হয়ে ডাকে ফুলকির বউমা ধানসিঁড়ি অর্থাৎ ধানুকে। প্রথম দিনের হেয়ারিংএ ধানু কিছু করতে না পারায় পর্ণা বুঝে যায় এবার তাকে প্রণাম জোগাড় করতে হবে। পর্ণা বাড়িতে আসলে বর্ষা তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হল। তখন পর্ণা তাকে জানায় সে প্রণাম খুঁজে পাবেই।

তখন কৃষ্ণা আসে বলে সে কিছুই পায়নি আর পাবেও না। সেটা শুনেই পর্ণা জানায় সে যে করেই হোক অমিতেশ দত্তকে ছাড়াবে। কারণ সেটা না করলে কেউ আর সৎ পথে কাজ করতে চাইবে না। তখন জেঠু আসে জানান যে যে লোক টাকা পাঠানোর অভিযোগ করেছে তারা কেউ গরীব নয়। তাদের বড় বাজারে দোকান আছে। সবটাই রাঘবের চাল। সেটা শুনেই অটো করে লোকটির খোঁজে বেরিয়ে যায় পর্ণা আর সৃজন। সৃজন পর্ণাকে জিজ্ঞাসা করে তার কষ্ট হচ্ছে কিনা তখন পর্ণা বলে অমিতেশ দত্তর জন্য তাকে এইটুকু করতেই হবে।

সেই লোকটির কাছে গিয়ে পর্ণা জিজ্ঞাসা করে তিনি কেন অমিতেশ দত্তর ফোন টাকা পাঠিয়েছিলেন। সেটা শুনে লোকটি পর্ণাকে জিজ্ঞাসা করে অমিতেশ দত্ত তার কে হয়, তখন পর্ণা বলে তার বাবা হন। তখন ওই লোকটি অমিতেশ বাবুকে উল্টো পাল্টা বলেন ওখান থেকে চলে যায়। তারপর লোকটি ফোন করে রাঘবকে এবং পুরো ঘটনাটা জানায়। তখন তাদের একজন লোক বলে অমিতেশ দত্তর বউমা খুব সাংঘাতিক মহিলা। সে আগেও অনেককে শাস্তি দিয়েছে। এমনকি সে মন্ত্রী সুকুমার রায়কেও শাস্তি দিয়েছে।

সেটা শুনেই কিছুটা ঘাবড়ে যায় রাঘব। ওদিকে পর্ণা আর সৃজন প্রথম অভিযোগকারীর কাছে যায় এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে। একজন তাকে ভয় পেয়ে জানিয়েও দেয় যে এইসবটা রাঘব করিয়েছে। তবে তারা প্রত্যেকেই রাঘবকে জানিয়ে দেয় তাদের থেকে সত্যি বের করার জন্য পর্ণা আর সৃজন এসেছিল। তখন তাদের মারার জন্য গুন্ডা পাঠিয়ে দেয় রাঘব। হাঁটতে হাঁটতে পর্ণা ক্লান্ত হয়ে পড়লে সে একটা জলের বোতল কিনতে বলে সৃজনকে কিন্তু সৃজনের কাছে খুচরো টাকা না থাকায় সে ফোন থেকেই টাকা পাঠিয়ে দেয় আর তখনই বুদ্ধি আসে পর্ণার মাথায়।

আরো পড়ুন: নি’কৃ’ষ্ট পুরুষ! দীপাকে তাড়িয়ে শেষ হাসি হাসল সূর্য, ইরার সঙ্গে সেনগুপ্ত বাড়িতে ফিরল সে!

কিন্তু সেই মুহূর্তেই গুন্ডারা হামলা করে দেয় পর্ণার ওপর। তারপর তাদের সঙ্গে মারামারি করে সৃজন তাকে নিয়ে কোর্টে চলে যায়। এদিকে কোর্টে তাদের আসতে দেরি হচ্ছে দেখে জর্জ সাহেব তার আদেশ শোনাতে যাবে, এমন সময় চলে আসে পর্ণা। সে জর্জকে বলে তার ফোন নম্বর দিতে। প্রথমে তিনি ইতস্তত করলেও পরে দিয়ে দেন। আর তখনই একের পর এক টাকা ঢুকতে থাকে তার ফোন। সেটা দেখে উনি অবাক হয়ে যান। আর তখন পর্ণা বলে এইভাবেই অমিতেশ দত্তকেও ফাঁসানো হয়েছে। তখন জর্জ সাহেব প্রশংসা করেন পর্ণার। তারপর তিনি সম্মানে মুক্তি দেন অমিতেশ দত্তকে আর আদেশ দেন রাঘবদের বিচার করতে। যেটা দেখে জেঠু বলেন পর্ণা সত্যিই তাদের গর্বের বউমা।

Back to top button