তুবড়ির অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে মায়ের অমতে ভালোবেসে বিয়ে করে এনেছিল অর্জুন, তারপরই তুবড়িকে ভুল বোঝা শুরু! ‘অর্জুনের সঙ্গে গিরগিটির তো কোনো পার্থক্যই নেই’, বিরক্ত নেটিজেনরা

জি বাংলার একটি অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক হল উড়ন তুবড়ি তার কারণ আসার কয়েক দিন পর থেকেই তাকে নিয়ে যেভাবে টানা হেঁচড়া শুরু হয়েছে তা বলার নয়।প্রথম এসেছিল সন্ধে ছটার স্লটে এরপর খেলনা বাড়ি এসে যাওয়ায় পিলুকে সন্ধ্যে ছটায় পাঠিয়ে উড়ন তুবড়ি কে পাঠানো হল রাত দশটায়।এখন আবার জানা গেছে বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি আসছে রাত দশটায় তাই উড়ন তুবড়ি যাবে রাত সাড়ে দশটায়। ধারাবাহিকের জায়গার কোন স্থিরতা নেই।

এবার গল্পে যদি একটু স্থিরতা আসতো তাহলে ভাল হত। তুবড়ির অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাকে বাঁচানোর জন্য বিয়ে করে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিল অর্জুন। সে খুব ভালো করেই জানত তার মা তুবড়িকে মানবেন না, স্বাভাবিকভাবেই সেটাই হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা কী আশা করতে পারি যে অর্জুন তুবড়ির পাশে দাঁড়িয়ে মা কে বোঝাবে যে তুবড়ি খারাপ নয়। এটাই তো স্বাভাবিক ভাবে হওয়ার কথা কিন্তু এটা তো ধারাবাহিক তাই দেখানো হচ্ছে যে অর্জুন তুবড়িকে সহ্য করতে পারছে না তার কারণ তার মনে হচ্ছে তুবড়ি তার মাকে অপমান করছে।

তুবড়িকে জীবনে পাওয়ার জন্য কী কী না করেছিল অর্জুন আর সেই অর্জুন যখন তুবড়িকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসলো তখন তুবড়ির সঙ্গে সে যে ব্যবহারটা করছে সেটা কখনোই কাম্য নয়। অন্তত নেটিজেনরা এমনটাই বলছেন।

যারা উড়ন তুবড়ির দর্শক তারা বলছেন যে অর্জুন পুরো গিরগিটির মত ব্যবহার করছে।বিয়ে করে নিয়ে আসার আগে সে তুবড়ির জন্য পাগল ছিল আর তারপর যখন বিয়ে করে নিয়ে এলো তখন মায়ের কথায় উঠছে বসছে তাহলে বিয়েটা করতে গেল কেন? তুবড়ি তো আর তাকে বলেনি, আমায় বিয়ে করো বিয়ে করো। তাই গল্প যদি এখন কিছুটা বদলানো না হয় তাহলে সাড়ে দশটাযতেও কিচ্ছু টিআরপি পাবে না এই ধারাবাহিক।

Back to top button