শিমুলের বিরুদ্ধে কোর্টে গিয়ে সাক্ষী দিল গিরগিটি মধুবালা! ‘এই মহিলার শাস্তি চাই’ দাবি দর্শকদের

বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) কার কাছে কই মনের কথা (Kar kachhe koi moner kotha) ধারাবাহিকটি বেশ জনপ্রিয় ও চর্চিত একটি ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের বর্তমান পর্বে দেখা যাচ্ছে বিয়ের দিন কেউ একজন বিষ খাইয়ে মা’র’তে চেষ্টা করেছিল পরাগকে। গায়ে হলুদের সময় প্রতীক্ষা তার ঘরে গিয়ে দেখে পরাগ অসুস্থ হয়ে মাতিতেপরে রয়েছে। সেটা দেখে প্রতীক্ষা চিৎকার করে সকলকে জানায় যে বিষ খাইয়ে পরাগকে কেউ মারার চেষ্টা করেছে।

আর সেই সন্দেহ গিয়ে পড়ে শিমুলের ওপর। এমনকী মধুবলাও সন্দেহ করে শিমুলকে। সেই সময় পুতুল ও শিমুলের বন্ধুরা জানায় যে তারা শিমুলকে বিশ্বাস করে। তারা জানে যে, শিমুল এই ধরনের কাজ করতে পারে না। পুলিশ এলে মধুবালা নিজের অসংলগ্ন কথার মাধ্যমে জানায়, যে সেও শিমুলকেই দোষী বলে মনে করে। তারপর পুলিশের কথা অনুযায়ী পরাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরবর্তীকালে দেখা যায়, শিমুলকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেইসময় প্রতীক্ষা, পলাশ আর পরাগ মিলে মধুবালা বোঝাতে থাকে যে এই কাজটা শিমুল ছাড়া আর কেউ করতেই পারে না। আর তাদের কথা শুনে মধুবালারও মনে হয় যে সত্যি এই কাজটা শিমুলই করেছে। সেই সময় নিজের মায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে একা শিমুলের পাশে দাঁড়ায় পুতুল। কিন্তু তাকেও চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।

আগামী পর্বে দেখা যাবে, শিমুলকে কোর্টে পেশ করা হয়েছে। আর তারপরেই তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে কোর্টে ডাকা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মধুবালা বিচারপতিকে জানায়, যে সে এতদিন শিমুলকে ভুল চিনে এসেছে। নিজের স্বার্থে অন্ধ হয়ে এতদিন তার কথায় ভুলে থেকেছে মধুবালা। শিমুল তার ছেলেদের থেকে তাকে আলাদা করে দিয়েছে। ভাল ভাল কথা বলে পরিবারের সর্বনাশ করেছে সে।

আরও পড়ুনঃ হরগৌরীর নায়িকাকে ঘিরে দুঃসংবাদ! তবে কী বন্ধ হয়ে যাবে শুভস্মিতার ধারাবাহিক! নাকি অন্য কিছু

মধুবালা আরও বলে, সে এখন বুঝতে পারছে, যে শিমুল কেন ডিভোর্সের পরেও তাদের বাড়িতে থেকে গেছে। সে সুযোগ সন্ধানী। তাই পরাগের বিয়ের দিনই চায়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পরাগকে মারার চেষ্টা করেছিল শিমুল। সে শিমুলের কঠিন শাস্তির দাবি করে। আর অন্যদিকে, মধুবালার এই ভোল পরিবর্তন দেখে ভীষণ কষ্ট হয় শিমুলের। খুশির আমেজ পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা, প্রিয়াঙ্কার মনে।

Back to top button