অভিনয়ের টানে মুম্বই গিয়ে স্ট্রাগল! বাংলায় ফিরে চাকরি করতে করতে বিগ ব্রেক! সন্ধ্যার অনস্ক্রিন স্বামী সৌরজিতের গল্প কেউ জানে না

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় নিত্যনতুন ধারাবাহিকে যেরকম পুরনো অভিনেতা অভিনেত্রীরা কামব্যাক করছেন ঠিক সেই রকমই ফিরছেন নবাগত অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই যেমন স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় শুরু হয়েছে মিসিং স্ক্রু প্রোডাকশন হাউসের নতুন ধারাবাহিক সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। আর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই টেলিভিশনের দুনিয়ায় নায়ক হয়ে প্রথমবারের মতো পা রেখেছেন অভিনেতা সৌরজিৎ বন্দোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন জি বাংলার পর্দায় দাপটের সঙ্গে চলা ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ খ্যাত অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই ধারাবাহিকেও নিজের অভিনয়ের জাত বুঝিয়েছেন অন্বেষা। অল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকে রয়েছেন টেলিভিশনের অন্যতম পরিচিত মুখ অমৃতা দেবনাথ। দুই পোড়খাওয়া নায়িকার মাঝে নায়ক একেবারেই আনকোরা। আর তাই এই ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গিয়ে বেশ ভয়ে ভয়েই ছিলেন তিনি বলে জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, আদতে মেদিনীপুরের ছেলে অভিনেতা সৌরজিৎ ব্যানার্জি। কিন্তু পড়াশোনা করেছেন লিলুয়ার ডন বস্কো স্কুলে। তিনি থাকেন‌ও হাওড়ার বেলুড়ে। স্কুলের পর তিনি আশুতোষ কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছেন। ছোট থেকে ইংরেজি থিয়েটার করতেন। চোখে বরাবরই ছিল অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন। ‌ নিজের স্বপ্ন পূরণে পাড়ি দিয়েছিলেন মুম্বাইতে। সেখানে অভিনয়ও শেখেন। কাজ করেন দুটি মিউজিক ভিডিওতে।

কিন্তু মুম্বাইতে একটা সময় পর্যন্ত থাকার পর আর থাকা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না‌। ফিরে আসেন কলকাতায়। অভিনেতা জানিয়েছেন, এরপর রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদে কাজ করেন সৌরজিৎ।

Bengali serial

আসলে জীবনে অভিনেতাই হতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর বেশ কিছু দিন একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরিও করেন সৌরজিৎ। কিন্তু তার ভালোবাসার জায়গা ছিল অভিনয়। আর সেই কাজের সুযোগ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। তিনি নিজেকে অভিনেতা হিসাবে আরও পরিণত করতে চান। ভবিষ্যতে বড় পর্দায় এবং ওয়েব সিরিজে কাজ করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

তা হঠাৎ সিরিয়ালের নায়ক হলেন তিনি কীভাবে?

এই বিষয়ে অভিনেতা জানিয়েছিলেন‌ ‘আমার কাছে প্রযোজনা সংস্থা থেকে প্রথমে কল গিয়েছিল। এরপর আমার ৮ দফা অডিশন নেওয়া হয়। পরে আমাকে এই চরিত্রের জন্য বাছা হয়েছে।’ অভিনেতার পরিবারে রয়েছেন মা, বাবা, দিদি। নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকতে, তাঁদের নিয়ে থাকতেই পছন্দ করেন অভিনেতা। কেউ বিপদে পড়লে তিনি সবসময় এগিয়ে যান। কিন্তু বিবাদে জড়ান না।

Back to top button