“কাছের আত্মীয়রাই অনেকসময় বাচ্চাদের ম’লেস্ট করে!” অকপট অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী

বাংলা অভিনয়ের জগতের জনপ্রিয় মুখ তিনি। একের পর এক ধারাবাহিক, সিনেমায় অভিনয় করে তিনি জয় করছেন দর্শকদের মন। একাই একশো, টাইগার, চাওয়া পাওয়া, কিশলয়, সাহেব বিবি গোলাম, বলো দুর্গা মাইকি, রক্তবিলাপ, জানবাদ, বরবাদ, একান্নবর্তী, দ্য একেন, সাঁঝবাতি, পাওয়ার, তিন কন্যা, চুপকথা ২, অভিমান, বর্ণপরিচয়, এসওএস কলকাতা, নাকাব, সোয়েটার, বিন্দাস, চেঙ্গিস সহ একাধিক সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন অভিনেতা সুদীপ মুখার্জী (Sudip Mukherjee)

রুদ্রবীণার অভিশাপ ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করছেন তিনি। এছাড়া মন দিয়ে কাছাকাছি, অগ্নিজাল, এক্কা দোক্কা, ধারাবাহিকেও খল চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। যদিও শ্রীময়ী ধারাবাহিকে অনিন্দ্যর চরিত্রে তারা অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শকদের মনে। এখনও তিনি ভীষণভাবে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় অনিন্দ্য নামে। সম্প্রতি তিনি অভিনয় করছেন স্টার জলসার টেন্ট সিনেমার বঁধুয়া ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকে রানা রায় চৌধুরী ওরফে রণ রের মতো একটি ডায়নামিক চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা।

চরিত্রটি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন “একটি ভীষণ ডায়নামিক, খুব নেগেটিভ একটি চরিত্র। এবং আমার মনে হয়না বাংলা ধারাবাহিকে এরকম একটি নেগেটিভ চরিত্র আগে দেখানো হয়েছে। যে বাচ্চাদের কে ম’লেস্ট করে। একদম ব্লেডের ধারে আছে। টেলিভিশনের পর্দায় বাড়াবাড়ি দেখানো যাবে না। কারণ এখানে সবাই দর্শক। কিন্তু খারাপটা বোঝাতে হবে। এটা সুশান্তর পক্ষে খুব কঠিন। অভিনেতা জানিয়েছেন অনিন্দ্যর চরিত্রটাকে ছাপিয়ে যাওয়ার মতো একটি চরিত্র করা আমার জন্য সহজ নিয়েছে কারণ আমার স্ত্রীর এখানে রোল করছে মধুরিমা ও খুব ভালো অভিনেত্রী। আর অনেকদিন পর অনিন্দ্য জুনের পর স্ত্রী আর রণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে আবার।”

আরো পড়ুন: ক’চি অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রে’মে’র গুঞ্জন মধ্যবয়সী অম্বরিশের! নিজের জীবনের প্রথম প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা!

অভিনেতা এও জানিয়েছেন “কখনও গিয়ে পেখমকে রনের মুখোমুখি হতে হবে এটা খুব ইন্টারেস্টিং। পেখমের কি রিয়েকশন হবে আর এটা নিয়ে কিভাবে গল্প এগোবো সবটা নিয়ে আমরাও ধাঁধায় আছি। আমারও ছোট থেকে দেখেছি বিশেষত যৌথ পরিবারে বাচ্চারা অনেকাংশেই খুব কাছের আত্মীয়র থেকে ম’লেস্ট হয়েছে। আগে বেরিয়ে আসতো না এখন বেরিয়ে আসে। চাইল্ড অ্যাবি’উস, চাইল্ড ম’লেস্ট, রে’প। এই রনের মতো চরিত্র আমাদের আশেপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে যেগুলোকে নির্ধারণ করা দরকার। এর জন্য বাবা মাকে বাচ্চাদের সঙ্গে বেশি থাকতে হবে। কারণ অনেকসময় হয় বাচ্চারা ভয়ে বলেনা বা বাবা মায়েরা বিশ্বাস করেনা। তবে পারে মামা তখন বাবা মায়েরা মনে করে হয়তো বাচ্চারা মিথ্যে বলছে। আমি নিজেও দেখেছি ছোটবেলায় যে মেয়েটা দিনের পর দিন এইসব সহ্য করেছে। এটা ছেলে বা মেয়ে বলে না বাচ্চা তো বাচ্চাই। আমি নিজেও একটা মেয়ের বাবা, আমার দুটো ছেলেও আছে। তাই আমাকেও লক্ষ্য রাখতে হয়।”

অভিনেতা জানিয়েছেন “তবে এরকম যারা করে তারা আমার কাছে মানসিক রোগী। আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রিক হয়ে গেছি সেটা কমিয়ে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। আমি সন্তানের নিয়ে খুব সেনসিটিভ। আমি আগে মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতাম এখন সে বড় হয়ে গেছে এখন বন্ধুবান্ধব করেছে। ঠিক আছে। সে আসে ভাইদের সঙ্গে থাকে খেলা করে। আমার কাছে দুটো পরিবারে প্রতিই আমার দায়িত্ব রয়েছে, আমার আগের পরিবারের সঙ্গেও আমি ভালো সময় কাটিয়েছি সেটা ভুলে চলবে না এবং এখন যারা আমার পরিবার তাদের প্রতি একটা দায়িত্ব তো আছেই। বিচ্ছেদ সবসময় তিক্ত কিন্তু বিচ্ছেদ মানে একটা মানুষকে অসম্মান করা নয়। তোমার কিছু জিনিসের সঙ্গে আমি মানিয়ে নিতে পারছি না আমার কিছু জিনিসের সঙ্গে তুমি মানিয়ে নিতে পারছ না তার মানে তুমি গোটা মানুষটা খারাপ এমনটা নয়। তাই তিক্ততার আগে আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো।” তাহলে বঁধুয়া ধারাবাহিকে আপনাদের রণকে কেমন লাগছে?

Back to top button