পোখরাজ-রাধিকা-অনির্বাণ নিয়ে ঘেঁটে ঘ! ‘রাধু তুই ভালোই ছিলি পোখু কোলে আসলি কেন ছেড়ে?’, কবিতা বানালো ভক্ত  

স্টার জলসার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘এক্কা দোক্কা’। যাঁরা এই ধারাবাহিকটি দেখে, তাঁরা সকলেই জানেন রাধিকা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লোরে সব সবে সুস্থের দিকে ফিরছেন। আর বাইরে তার জন্য অপেক্ষার রয়েছে তার গোটা পরিবার, সঙ্গে ড: গুহ ও পোখরাজও। সুস্থ হয়ে ফায়ার রাধিকার নতুন জীবন কার সঙ্গে মোড় নিতে চলছে, এবার সেটাই দেখার। উল্লেখ্য, দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম নিয়ে শুরু হয় স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’।

বর্তমানে লিখিকা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। ধারাবাহিকের প্রথমদিকে রাধিকা এবং পোখরাজ দুজনেরই জুটি বেশ প্রিয় ছিল দর্শকদের। তবে পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির দরুন দুজনে আলাদা হয়ে যায়। এমনকি বিয়ে হয়েও ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপরই গল্পে এন্ট্রি নেয় ড:গুহ। গল্পের মোড় কোনদিকে ঘুরবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে দর্শক। দেখা যায়, দুজনের জীবনই এগোয় ভিন্ন ভিন্ন দিশায়। রাধিকার জীবনে এন্ট্রি নেয় ড: গুহ।

অন্যদিকে পোখরাজের জীবনে এন্ট্রি নেয় রঞ্জা। এমনকি রাধিকার সঙ্গে ড: গুহর বিবাহ ঠিক হয়। এরপরই দর্শকদের মনে এটাই প্রশ্ন জাগে ধারাবাহিকের আসল নায়ক কে! তারমধ্যেই গল্পে এক নতুন ট্যুইস্ট আসে। গল্পের নায়িকা রাধিকা গর্ভবতী হওয়ার খবর আসে। হঠাৎ রাধিকার প্রেগনেন্সির খবর দর্শকদের ভাবনায় ফেলে দিল। কিন্তু পরে জানা যায়, রাধিকা প্রেগনেন্ট নয়, রাধিকার পেটে রয়েছে বড় টিউমার। আর এই ঘটনাতেই রাধিকার বাবা কুশল স্যার ড: গুহর উপর অনেকেই রেগে যায়। কারণ রাধিকার প্রেগনেন্সির কথা শুনে ড: গুহও তাকে দোষারোপ করেছিল।

যদিও পরে রাধিকার টিউমারের কথা শুনে কুশল স্যারের কাছে হাসপাতালে এসে ক্ষমা চায় ড: অনির্বান। আর রাধিকার এই প্রেগনেন্সির ঘটনা নিয়েই দর্শকমহলে ট্রোল শুরু হয়। একদিকে অনির্বান রাধিকার কাছে ক্ষমা চেয়ে সব ঠিক করে নিতে চায়। অন্যদিকে হাসপাতালে পোখরাজ তার স্ত্রী রঞ্জাকে নিয়ে রাধিকাকে দেখতে আসে। সেও রাধিকাকে বহুবার ভুল বুঝেছে। এখন পোখরাজও নিজের ব্যবহারে লজ্জিত, সেও রাধিকার কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত। রাধিকা যদিও এখনও পুরোপুরি সাউথ হয়ে ওঠেনি। এরমাঝেই রাধিকা-পোখরাজের পুরোনো স্মৃতি মনে করে এক নেটিজেন লেখেন, রাধিকা ভালোই ছিল পোখরাজের কোলে, কেন সে তাকে ছেড়ে দিল!

আবার তারপরের লাইনটি মজা করে লেখেন, “তাড়াতাড়ি পালাই বাবা আসবে সবাই তেড়ে”। এই লেখার সঙ্গে একটি ছবিও দেন তিনি। যেখানে রাধিকা কোলে শুয়ে রয়েছে পোখরাজ। এবার কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে ধারাবাহিক? একদিকে পোখরাজ অন্যদিকে অনির্বান, যার চিকিৎসায় রাধিকা সুস্থ হয়ে যেতে চলেছে। দর্শক কিন্তু সমানে সমানে বিভক্ত। একদল রাধিকা-পোখরাজকে একসঙ্গে চায়, আরেকদল রাধিকা-অনির্বাণকে একসঙ্গে দেখতে চায়। এবার এটাই দেখার, রাধিকা তার জীবনসঙ্গিনী রূপে কাকে বেছে নেবে?