গর্বের মুহূর্ত! নিউইয়র্কের বুকে বাউল গান গেয়ে শ্রোতাদের মোহিত করলেন শিল্পী পার্বতী বাউল! বিদেশের মাটিতে ঘোষণা হল তার বায়োপিকের!

Biopic Of Parvathy Baul: বিশ্বের অন্যতম বড় শহর নিউইয়র্ক সিটি (NewYork City)। আর এই বড় শহরের ব্যস্ততম জনপথ টাইম স্কোয়ার (Time Sqaure)। এই টাইম স্কোয়ারকে ইংরেজি সিনেমায় দেখানো হয় ৩৬০ ডিগ্রি প্যান ক্যামেরা মুভমেন্টে। যে দৃশ্য দেখে স্বপ্ন উড়ান ধরে হাজারো দর্শকদের। এবার সেই ঝা চকচকে জন্যপথে দেখা মিলল এক চিলতে গ্রাম বাংলার। শিল্পীর শৈল্পিকগুণে চোখ ধাঁধানো রাস্তার বুকে বেজে উঠল বাংলার বাউল গানের মন জুড়ানো সুর।

জনপ্ৰিয় বাউলশিল্পী পার্বতী বাউল (Parvathy Baul) নিউইয়র্কের টাইমস্কোয়ারে খোলা মঞ্চে তুলে ধরলেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি বাউল গানকে। কিংবদন্তী বাউলশিল্পীর জীবন অবলম্বনে তৈরি হতে চলেছে বায়োপিক (biopic)। নাম ‘জয়গুরু’ (Joyguru)। কেন এমন নাম জানেন? প্ৰখ্যাত শিল্পী ফোন ধরেই বলেন ‘জয়গুরু’। দেখা হলেও তাই। বিদায় দেওয়ার সময়ও বলেন ‘জয়গুরু’! তাই তাঁর বায়োপিকের নামও ‘জয়গুরু’।

বায়োপিক জয়গুরু নিয়ে কী বলছেন বাউলশিল্পী পার্বতী বাউল?

বাউল সঙ্গীত ও দর্শনকে আন্তর্জাতিক স্তরে তুলে ধরেছেন পার্বতী বাউল। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মতে, ছবির মাধ্যমে বাউল সংস্কৃতিকে আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের সামনে তুলে ধরার এটাই সঠিক সময়।’ উল্লেখ্য, পার্বতী শুধু তো বাউল-সাধক নন। পাশাপাশি তিনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী, পশুপ্রেমী ও মানবপ্রেমী। তাঁর ব্যাপক বিস্তৃত জীবনকে চিত্রনাট্য রূপ দেওয়া বেশ কঠিন কাজ।

বাংলাদেশে সম্মাননা পাচ্ছেন ভারতের পার্বতী বাউল

বাউলশিল্পী পার্বতী বাউলের বায়োপিক পরিচালনা করছেন জনপ্রিয় পরিচালক

এবার সেই কাজে কোমর বেঁধে লেগেছেন টলিপাড়ার অভিনেতা ও পরিচালক সৌম্যজিৎ মজুমদার। সম্প্রতি টাইমস্কোয়ারে সঙ্গীত পরিবেশনের পর পরিচালক নিজে এই ছবি পরিচালনার কথা জানিয়েছেন। অভিনেতা হিসেবে টলিপাড়ার বেশ পরিচিত মুখ সৌম্যজিৎ। এর আগে ‘হোমকামিং’ নামে একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন। তবে হঠাৎ কেন পার্বতী বাউলের জীবন নিয়ে ছবি তৈরি করছেন?

আরও পড়ুন: ধুমকেতুর মতো উত্থান! হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেলেন ধারাবাহিক চোখের তারা তুই, টার্গেট সিনেমার নায়ক জয় মুখার্জী?

পার্বতী বাউলের বায়োপিক পরিচালনা প্রসঙ্গে কী বলেন পরিচালক সৌম্যজিৎ মজুমদার?

প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা পরিচালক জানিয়েছেন, ‘ওঁর সঙ্গে প্রথম আলাপের পর থেকেই আমার ইচ্ছেটা প্রবল হয়। তারপর গত এক বছর ধরে ওঁর আশ্রমে যাতায়াত করছি। তারপর চিত্রনাট্য তৈরি করি।’’ পার্বতীর মতো শিল্পী তাঁকে এই কাজে অনুমতি দিয়েছেন বলেও কৃতজ্ঞ সৌম্যজিৎ।

Back to top button