অ্যাংরি দিদির কাজে ভীষণ অ্যাংরি নেটজনতা! কেনাকাটা করতে বেরিয়েছেন বাবার কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়ি নিয়ে, বেজায় ট্রোল হলেন ঊর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রত্যেক বিষয়ে অকপটে কথা বলে থাকেন ঊর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর বলার ধরনটা অন্যদের থেকে আলাদা। মজার কথা বলেন রেগে রেগে। যাতে নেটিজেনরা তার নামকরণ করেছেন ‘অ্যাংরি দিদি’।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্রী ঊর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে অসন্তুষ্ট হলেন নেটিজেনদের একাংশ। ঊর্ণার প্রতি অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, বেশি দেখনদারিতে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। তার জায়গায় ভিডিওর জন্য ভালো বিষয় খোঁজার উপদেশ পেলেন।

সম্প্রতি নিজের একটি ভ্লগ পোস্ট করেন এই ব্যক্তিত্ব। যাতে ট্রোলের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। মূলত মাকে নিয়ে গাড়ি করে কেনাকাটা করতে যাওয়ার, একটি ভিডিও তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। ভিডিওটি মাত্র চার মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের। সেখানে শুধুমাত্র মা-মেয়ের খুনসুঁটি আর কেনাকাটাই দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিপদ সেখানে নয়। ঊর্ণার গাড়িতে ‘গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’-র বোর্ড দেখেই বেজায় চটে যান নেটজনতারা।

বেশ কটুক্তিকর মন্তব্য আসতে থাকে ঊর্ণার উদ্দেশ্যে। কেউ প্রশ্ন করেন, কেনাকাটার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন? আবার তার বাবার ক্ষতি হতে পারে বলেও, মন্তব্য করেন অনেকে। অনেকে বলেন, সুন্দর সুন্দর ভিডিও বানানো ভুলে গেছেন অ্যাংরি দিদি। মন দিয়েছেন দেখনদারিতে। এই ধরনের কটাক্ষকর মন্তব্যে ভরে যায় ঊর্ণার সোশ্যাল হ্যান্ডেল।

এরই মাঝে মুখে কুলুপ এঁটেছেন ঊর্ণা। মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। জানালেন, “যদি এত নেতিবাচক বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করি, তাহলে ভিডিও বানানো হবে না। তিনি বলেন, তিনি বুঝতে পারেননি। এইটুকু ব্যাপার নিয়ে এতো কিছু হয়ে যাবে। অন্যদিকে নেটিজেনের করা প্রশ্নের জবাব দেন। বলেন, বাবা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী। কিন্তু গাড়িটা পারিবারিক। অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞেস করেছেন, কোন অধিকারে সে এই গাড়িতে বসেছে! পাল্টা জবাবে ঊর্ণাও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, বাবার গাড়ি চড়তে কোন সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে?

এরকম প্রায়ই সমালোচনা শুনতে হয়ে থাকে বিভিন্ন ভ্লগারদের। এমন অনেকেই আছে যাদের কমেন্টবক্স, ভাল মন্তব্যের জায়গায় কুরুচিকর মন্তব্যেই ভরে গিয়েছে। তাতে যদিও বা তারা থেমে থাকেননি। নিজেদের পছন্দমতো ভিডিও বানিয়ে পোস্ট করছেন।

Back to top button