Indubala Bhaater Hotel: জীবনের সেরা চরিত্র করার জন্য ভোলটাই পাল্টে দিলেন সুপারস্টার নায়িকা! ৩১ বছরেই সমস্ত চুল পেকে সাদা! দেখতে লাগছে থুড়থুড়ে ঠাকুমা! বলুন তো ইনি কে?

শুভশ্রী গাঙ্গুলী। ব্যক্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে বিতর্ক, হাজার আলোচনা এবং সমালোচনা। তবুও থামেন না তিনি। আর আজ কেরিয়ারের এতগুলো বছর ধরে সেরা স্থানে থেকেছেন এই নায়িকা। এখনো নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন শুভশ্রী। তাইতো ৩১ বছর বয়সে পরিণীতার মত কিশোরী মেয়ের চরিত্র করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠিত হননি তিনি। আবার হাবজি গাবজিতে একজন পরিণত মায়ের চরিত্রও করে ফেলেছেন তিনি এই বয়সে।

বর্তমানে নায়িকার আরো দুটো পরিচিতি যুক্ত হয়েছে। টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং ইউভান চক্রবর্তীর হট মাম্মা। আর এই মুহূর্তে নায়িকা নিজের সংসার এবং কাজ একা হাতে দুটোই সামলাচ্ছেন ১০০%।

বর্তমানে ছেলের জন্মদিন উদযাপনে রয়েছেন বিদেশে। সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে বেরিয়ে একের পর এক ভ্রমণ ডায়েরি থেকে ছবি শেয়ার করছেন শুভশ্রী। কোনটায় ছেলে বরফ নিয়ে খেলছে আবার কোনটায় নায়িকা আইফেল টাওয়ারের নিচে বসে প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করছেন।

কিন্তু এ কী হাল হলো অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলীর? এই বয়সেই সমস্ত চুল পেকে সাদা হয়ে গেছে। মুখে বলিরেখা এসেছে বয়স্কদের মত। দেখতে লাগছে একেবারে দিদিমা-ঠাকুমাদের মতো। পড়নি জীর্ণ ও মলিন সাদা থান। না, চিন্তার কিছু নেই। এর মধ্যেই বেশ কয়েকদিন ধরেই একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল টলিপাড়ায় যে ওটিটি পর্দায় ডেবিউ করতে চলেছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। অবশেষে সেই খবর হলো সত্যি। কল্লোল লাহিড়ির লেখা উপন্যাস ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ এবার ওয়েব সিরিজে ফুটে উঠতে চলেছে। আর তাতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন শুভশ্রী। পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্যের হাত ধরেই ওয়েব যাত্রা শুরু করবেন নায়িকা।

ইন্দুবালা ভাতের হোটেল (Indubala Bhaater Hotel) - SAKRAIN

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নায়িকার ফার্স্ট লুক। যা চকচকে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে বেরিয়ে এসে শুভশ্রী গাঙ্গুলি এবার এক বয়স্ক মহিলার চরিত্র। শুরুতেই বলেছিলাম নায়িকা এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। তাই এই বয়সেও আবার নতুন করে যাত্রা শুরু করতে দ্বিধাগ্রস্ত হননি তিনি। বাংলাদেশের এক মেয়ে ইন্দুর বিয়ে হয় এক মদ্য’প ব্যক্তির সঙ্গে। অল্প বয়সেই এক সন্তান নিয়ে বিধবা হয় সে। পেট চালাতে সে খোলে ভাতের হোটেল। এই গল্পটা দুই বাংলার গল্প এবং অবশ্যই ইন্দুর সংগ্রামের কাহিনী।

Back to top button