Sandip Chowdhury Death: প্রচারের লোভ বোনের, দাদার সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক রাখেনি! নিজের ননদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রয়াত সন্দীপ চৌধুরীর স্ত্রী

দেখতে দেখতে দু সপ্তাহ কেটে গেল, চলে গেছেন টলিপাড়ার বিখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র সন্দীপ চৌধুরীর। গত ৩ জানুয়ারি তিনি মারা যান, বয়স হয়েছিল ৪৪। বাবার মতো সন্দীপও ছবির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে বাংলা ছবির থেকে তিনি ধারাবাহিকই বেশি করেছিলেন। বাবার মতো বাঙালির ঘরে ঘরে ছেলের নাম তেমন জনপ্রিয় না হলেও টলিপাড়ায় সন্দীপ ছিলেন সুপরিচিত। পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সন্দীপ ছিলেন মেজো ছেলে। দিদি চুমকি চৌধুরী এবং বোন রীনা চৌধুরী।

Director Sandip Chowdhury's untimely demise leaves Tollywood in shock | Bengali Movie News - Times of India
বাবার হাত ধরে তিনি প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে টলিপাড়ায় অভিনয় করেছেন। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তেমন তাঁর ঝোক ছিল না, তাই তিনি পরে পরিচালনার দিকেই এগোন। অল্প বয়সেই ভাইয়ের অকাল মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন দিদি চুমকি চৌধুরী এবং বোন রিনা চৌধুরী। মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমের কাছে রিনা এও দাবি করেছিলেন, ভাই যে অসুস্থ সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানতেনই না। গত ১৩ জানুয়ারি, শুক্রবার পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সন্দীপের।

Sandip Chowdhury death | Sandip Chowdhury was not famous like father Anjan Choudhury, elder Sister Chumki Chowdhury and Sister Rina Choudhury, but made an impact in Tollywood dgtl - Anandabazar
পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী রিনার দাবি করা কথা নিয়ে মুখ খুললেন সংবাদমাধ্যমে। সন্দীপ-পত্নী বলেন, ভাই যে অসুস্থ সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানতেনই না- একথা কেন বলছেন তিনি বুঝতে পারছেন না বিদিশা। কারণ গত ৬ মাসে রিনার তরফ থেকে ভাই-এর কাছে একটাও ফোন আসেনি। বরং দিদি চুমকি চৌধুরী সারাক্ষণ তাঁর পাশে ছিলেন বলে জানান সন্দীপের স্ত্রী বিদিশা চৌধুরী।

Bidisha Chowdhury on Sandip Chowdhury death | Bidisha Chowdhury wife of Sandip Chowdhury reacts on recent accusation which is being made by Rina Chowdhury dgtl - Anandabazar
বিদিশার কথায়, রিনার স্বামী একদিন হাসপাতেল এসে সন্দীপকে দেখে গিয়েছিলেন। রিনা দিদি এবং স্বামী দু’জনের কাছ থেকেই ভাই-এর অসুস্থতার খবর পেয়েছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য এমন একটা মন্তব্য রিনা করেছেন বলে দাবি বিদিশার।

Reena Chowdhury: দাদা যত্ন পায়নি, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীনা চৌধুরী
প্রসঙ্গত, ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের সেটে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সন্দীপ। তখনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। ডাক্তাররা জানান, তাঁর হার্টের সমস্যা রয়েছে, সাথে ফুসফুসেও জল জমে গিয়েছিল। পাশাপাশি কিডনিরও অবস্থাও ভাল ছিল না। ইকবালপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিল সন্দীপকে। ধীরে-ধীরে মাল্টিঅরগ্যান ফেলিওর হয় সন্দীপের। হাসপাতাল সূত্রের খবর, সকাল ১০.৫০-এ মৃত্যু হয় সন্দীপের।

Back to top button