বলেন টা কী? গত পনেরো বছরে একবারও বাজাননি হর্ন! ভূমির সৌমিত্রর এইরকম কাজের পিছনে আসল কারণ জানলে চমকাবেন আপনিও

ভূমি ব্যান্ডের নামকরা ভোকালিস্ট সৌমিত্র রায় (Soumitra Roy)। মঞ্চে তার গান শুনে ভক্ত হয়েছেন শত শত মানুষ। এহেন গায়ক সৌমিত্রর একটা অদ্ভুত স্বভাব রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর হলো রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলে কখনো হর্ন বাজান না তিনি। কিন্তু কেন? ঘটনার সাপেক্ষে একটি গল্প শেয়ার করেছেন সৌমিত্র। বলা ভালো একটি বিশেষ কারণে এই অদ্ভুত অভ্যাস ধরেছেন তিনি।

সম্প্রতি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি শেয়ার করেছেন গায়ক। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে গাড়ির মধ্যে বসে রয়েছেন গায়ক। ক্যাপশনে একটি বড়সড় গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। সৌমিত্র লিখেছেন, “১৫ বছর হর্ন ছাড়া। আমি ২০০৯ সালে একটি সেকেন্ড হ্যাঁ স্যান্ট্রো গাড়ি কিনে চালাতে শুরু করি। আর তখন থেকেই আমি ঠিক করি আমি হর্ন বাজাব না। কঠিন ছিল না ব্যাপারটা। খালি আমার ধৈর্যর পরীক্ষা করছিলেন। এরপর আমার দুর্ঘটনার পর ২০২০ সালে এই গাড়িটি কিনি। এখনও আমি হর্ন না বাজিয়েই গাড়ি চালাই। অনেকেই এটার জন্য আমায় ভ্যাঙায়। অনেকে আবার নকল করেন। আপনিও চেষ্টা করে দেখুন পারবেন।”

কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত স্বভাব ধরিয়েছেন গায়ক? তার স্বপক্ষেও রয়েছে উল্লেখযোগ্য যুক্তি। ইদানিং কলকাতা শহরে চার চাকার প্রভাব বেড়েছে। যখন তখন গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ফলে রাস্তায় যানজট বাড়ছে। অতিরিক্ত হর্ণ বাজানোর ফলে শব্দ দূষণ হচ্ছে। আবার তা নিয়েও তিতিবিরক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। তাহলে এখন উপায় কী?

সচেতন নাগরিক সৌমিত্র রায় বলছেন, প্রয়োজন ছাড়া হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত হর্নের শব্দে যে হারে শব্দ দূষণ হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে। এই দূষণ খানিকটা কমানোর জন্যই অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন ভূমি ব্যান্ডের সৌমিত্র রায়। তিনি তাঁর গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরোলে কখনও হর্ন দেন না।

আরো পড়ুন: অনুরাগে বিবাহ পর্ব! আর নেই কোনও বাধানিষেধ! সূর্য অতীত! অর্জুন-দীপার বিয়েতে মত লাবণ্য সেনগুপ্তর!

সৌমিত্র রায়ের সোশ্যাল মিডিয়ার এই পোস্ট দেখে দর্শক মহলের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। একজন তো বলেই ফেললেন যে তিনিও বাইক নিয়ে বেরিয়ে গত পাঁচ বছরে একবারও হর্ন বাজাননি। ট্র্যাফিক জ্যামের মধ্যে আটকে গিয়ে হর্ন না বাজিয়ে দেখুন খারাপ লাগবে না। বরং আপনার এই কাজের ফলে স্বস্তি পাবেন আশেপাশের মানুষেরাও।

Back to top button