Super Singer: বাংলা গানের সেনসেশন পটার কণ্ঠে “কলঙ্কিনী রাধা” শুনে নস্টালজিক! হারানোর ব্যথায় কেঁদে আকুল যীশু সেনগুপ্ত! আবেগে আপ্লুত বিচারকরাও

এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের বিনোদন দিতে শুধু বাংলা সিরিয়াল যথেষ্ট নয় তার পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান। নাচ গান এবং হাস্যকৌতুক মূলক নানা ধরনের অনুষ্ঠান চলছে বিভিন্ন ধরনের চ্যানেলে। সব ক্ষেত্রেই যাতে দর্শক নিখাদ আনন্দ পায় দিনের শেষে সেটাই মাথায় রাখা হয়।

আসলে সিরিয়াল বাদে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান মানুষের সৃজনশীলতাকে উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন প্রতিভা প্রকাশ পায় সকলের সামনে। ফলে তাদের ক্ষেত্রে যেমন নতুন দিক উন্মোচিত হয় তেমন দর্শকরাও জানতে পারে তাদের মাঝেই লুকিয়ে আছে এমন সুন্দর কিছু প্রতিভা।

তেমনি এক প্রতিভাবান গায়ক হলেন সঙ্গীতশিল্পী পটা। তার নাম জানেনা এমন বাঙালি সংগীতপ্রেমী দর্শক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার কন্ঠে এমন অনেক গান রয়েছে যা শুনলে আজও আমাদের শরীর মনে শিহরণ জাগে। তার মধ্যে অন্যতম একটি গান হল কলঙ্কিনী রাধা। তার কন্ঠে এই গান যখন প্রথম প্রকাশ পায় তখন ৯০ এর দশক। তাই যুব সমাজ তখন কেউ কলেজে পড়ছে আবার কেউ স্কুলে। এই গানের সঙ্গে সেই সময়কার শ্রোতাদের নস্টালজিয়া জড়িয়ে আছে ছন্দে ছন্দে।

এবার আবার সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনলেন এই সঙ্গীত শিল্পী। স্টার জলসা সুপার সিঙ্গার সিজন ফোরের মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পটা। দর্শককে উপহার দিলেন এই গান। গোটা মঞ্চ জুড়ে সৃষ্টি হল সংগীতের নতুন আবেশ। নস্টালজিয়ায় ভেসে গেল আপামর বাঙালি।

নস্টালজিক হলেন স্বয়ং সঞ্চালক যীশু সেনগুপ্ত। মঞ্চে এই সঙ্গীতশিল্পীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেখানে এই গান শুরু করতেই দেখা যায় যীশুর চোখে জল। একটা সময় দেখা যায় সেই জল ধরে রাখতে পারছেন না তিনি, এতটাই আবেগে ভেসে গিয়েছেন এই অভিনেতা। গানের শেষে পটাকে জড়িয়ে ধরলেন যীশু। তবে শুধু যীশু নন, বিচারকরা নিজেরাও বাকরুদ্ধ হয়ে শুনছিলেন এই গান। বিচারকের আসনে থাকা মোনালি ঠাকুর রীতিমতো অবাক হয়ে গেছিলেন এবং তিনি যে কতটা মুগ্ধ সেটা তার চোখে-মুখের এক্সপ্রেশন থেকে স্পষ্ট। কমেন্ট বক্সে অনেকেই লিখেছে কলেজের দিনের কথা মনে পড়ে গেল। যীশুরও যে এমন কিছু স্মৃতি মনে পড়েছে সেটাই হয়তো মনে হল।

Back to top button