দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে টিআরপির লোভে দেখানো হয় মিথ্যা গল্প! দর্শকদের ক্ষোভে কী বললেন বাংলার দিদি রচনা ব্যানার্জি?

বিগত ১০ বছরের‌ও বেশি সময় ধরে বাঙালি দর্শকের মনে রাজত্ব করে চলেছেন বাঙালির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং সঞ্চালিকা অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী। চল্লিশ পেরিয়েও কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে দিদি নাম্বার ওয়ান তিনি।

একটা সময় অভিনয় দিয়ে দর্শকের মন মাতাতেন তিনি। বাংলা থেকে ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিজের অভিনয়ের দাপট দেখিয়েছেন তিনি। আজ‌ও ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বিশেষ কদর। কিন্তু অভিনেত্রী হ‌ওয়ার পাশাপাশি সঞ্চালিকা হিসেবেও দারুণ জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন তিনি।

এতগুলো বছর পেরিয়েও বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন শো দিদি নাম্বার ওয়ান। আর দীর্ঘদিন ধরে এই শো সঞ্চালনার গুরু দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। ‌‌এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া প্রতিটি মেয়ের লড়াই, সুখের গল্প মন দিয়ে শোনে বাঙালি দর্শক। কারর চোখ জলে ভেজে কেউ নতুন করে জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা পান।

আসলে এই শো‌ আর রচনা ব্যানার্জি কার্যত সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছেন। তবে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে যে দিদি নাম্বার ওয়ান-এর পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে দিদিরা যে গল্পগুলি বলেন সেগুলো স্ক্রিপ্টেড। টিআরপির লোভে দুঃখ, কষ্ট বাড়িয়ে বাড়িয়ে দেখানো হয়।‌‌ মহিলাদের সংগ্রাম, তাঁদের আত্মত্যাগের বাস্তব কাহিনীতে মিশে যায় মিথ্যাচার।

অনেকেই বিভিন্ন সময়ে দিদি নাম্বার ওয়ানে দেখানো এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। বেশ কিছুদিন আগে এই শো নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন বেহালার এক বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি সেইসময় নিজেকে দিদি নম্বর ১-এর এক প্রতিযোগীর প্রাক্তন স্বামী বলে দাবি করে জানান তাঁর স্ত্রী মঞ্চে দাঁড়িয়ে আষাঢ়ে গল্প বলেছেন। আসল সত্যি ধামাচাপা পড়ে গেছে। যদি আসল ঘটনা জানতে হয় তাহলে দু’পক্ষকে নিয়ে আসা উচিত। একজনের গল্প শুনিয়ে লোক কাঁদানোর মানে হয় না‌।

তিনি বলেছিলেন, দিদি নম্বর ওয়ান-এ মেয়ে নয়, এবার ছেলেদেরও দিকটাও তুলে ধরা হোক তাহলে। শুধু মেয়েরা এসেই ক্যামেরার সামনে হাউ হাউ করে কেঁদে যা বলবে সেটা সত্যি হয়ে যাবে এটা হতে পারেনা। তার নেপথ্যে আরও কোনও ঘটনা থাকতে পারে। এরপরেই তিনি দিদি নাম্বার ওয়ান-এর মঞ্চে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনেন।

যদিও এই অভিযোগ শুনে চুপ করে বসে থাকেন যে সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি। তিনি বলেন এটা একদমই সত্যি নয়। ১১ বছর ধরে এই শো চলছে। এতগুলো এপিসোডে এতগুলো মেয়ের কাহিনি, সবার চোখের জল মিথ্যা হতে পারেনা। হাজার হাজার মেয়ে অংশ নিয়েছে, সবাই কী অ্যাক্টিং করছে? এত সোজা অভিনয়? হতে পারে পাঁচশো-হাজার জনের মধ্যে হয়তো একজন সত্যিটা এদিক-ওদিক বললো। কিন্তু সবাই হতে পারে না।

Back to top button