‘আমি হ্যাপিলি ম্যারেড না,ছেলে ভবিষ্যতে আমাকে দেখবে না জানি’, সাক্ষাৎকারে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটালেন চিরযুবতী রচনা ব্যানার্জি!

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে আলোচনা করে ভাইরাল হলেন অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। বহুদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে থাকেন না তিনি। একাই মানুষ করছেন ছেলেকে।

সাক্ষাৎকারে নায়িকাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি সিঙ্গেল আছেন কিনা। উত্তরে বলেন যে বিবাহিত কিন্তু বিবাহিত জীবনে তিনি সুখী নন। আবার এও বলে যে তিনি বিচ্ছেদ করেননি। বস্তুত একমাত্র সন্তানের কারণেই স্বামী-স্ত্রী বিচ্ছেদের পথে হাঁটেননি। এর কারণ হিসেবে নায়িকা জানিয়েছেন যে তিনি কখনই চাননি তাঁর সন্তানের গায়ে এমন তকমা লাগুক যে তার বাবা-মা ডিভোর্সি। ছেলে বড় হচ্ছে। এই বড় হওয়ার পথে যাকে তাকে কোনও রকম খারাপ কথা শুনতে না হয় তাই আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রচনা এবং তাঁর স্বামী। তাই এখন রচনা এবং তাঁর স্বামী বন্ধু হিসেবে রয়েছেন একে অপরের সঙ্গে। এমনকি ছেলেকে নিয়ে তাঁরা সময় কাটান একসঙ্গে। ঘুরতে যাওয়া বা রেস্টুরেন্টে যাওয়া এগুলি অন্যান্য বাবা-মায়ের মতোই রচনা এবং তাঁর স্বামীও তাঁদের সন্তানের জন্য করেন। ছেলের পড়াশোনার দিকেও খেয়াল রাখেন তাঁর বাবা। তাঁরা তিনজনে ভালো সময় কাটান এবং তারপরেই আবার আলাদা হয়ে যান সন্তানকে নিয়ে নায়িকা। রচনা জানিয়েছেন যে তিনি একা বলে এমনটা নয় যে তিনি তাঁর জীবনে অন্য কারুর সঙ্গে থাকতে চান।

এরপর নায়িকাকে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি যখন পর্দায় কাজ করতেন তখন জনসংযোগের সুবিধা ছিল না কিন্তু এখন রিয়েলিটি শোয়ের সঞ্চালিকা হিসেবে কাজ করার ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারছেন। এই নিয়ে তাঁর অনুভূতি কেমন? নায়িকা বলেন যে তিনি অনেক শিক্ষা পেয়েছেন। আজ তিনি আর কোনও কিছুতেই দুঃখ-কষ্ট পান না। তিনি এত মানুষের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের সমস্যা বা দুঃখের কথা জানতে পেরেছেন যার তুলনায় তাঁর সমস্যা কিছুই না, এমনটাই অনুভব করেছেন তিনি। এমনকি তিনি এতটাই বাস্তববাদী হয়ে উঠেছেন যে তিনি কখনও আশা করেন না তাঁর সন্তান ভবিষ্যতে তাঁকে দেখবে। না দেখলেও তাঁর কোনো সমস্যা নেই।

Back to top button