মেলেনি সম্মান, ছিল না কাজ, ক্ষোভ পুষে রেখে টলিউড ছাড়লেন বিখ্যাত অভিনেতা প্রসূন গাইন! সঙ্গে ছাড়লেন অভিনয়ও, হতবাক নেটপাড়া

একসময়ের চুটিয়ে একাধিক বাংলা সিনেমায় কাজ করেছেন এই অভিনেতা। একদিকে যেমন দেবের প্রথম সিনেমা চ্যালেঞ্জ- এ অভিনয় করেছিলেন, তারপর সেদিন দেখা হয়েছিল- এর মতো সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন অভিনেতা প্রসূন গাইন।

অভিনেতা আজ বহু কাল হয়ে গেল অভিনয় জগৎ থেকে বহুদূরে চলে গিয়েছেন। কেন? বিস্ফোরক জবাব দিলেন অভিনেতা প্রসূন গাইন।

অভিনেতা অভিযোগ করেছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলিতে একসময় অভিনয় করলেও আজ টলিউডের পার্শ্ব চরিত্রের নায়ক-নায়িকাদের জন্য বিশেষ স্থান নেই। পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলের রং না থাকলে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আজকাল কাজ পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে বলে দাবি করলেন প্রসূন।

টলিউডের কাজ না পেলেও জীবন থেমে থাকেনি অভিনেতার। নিজের প্রতিভার জোরে বলিউডে ঠিক স্থান পেয়েছেন প্রসূন। একই সঙ্গে নিজের মতো করে শর্ট ফিল্ম তৈরি করছেন তিনি। পাশাপাশি রয়েছে মিউজিক ভিডিও পরিচালনার কাজ। অভিনেতার এই কাজ দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে দর্শকদের মধ্যে।

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আবার কি ফিরে আসবেন প্রসূন? উত্তর অভিনেতা জানিয়েছেন যদি কখনো এই দুরবস্থা পাল্টে যায় তাহলে আবার ফিরে আসার কথা ভাববেন তিনি। এই মুহূর্তে সকলকে তেল দিয়ে কাজ পাওয়া যায়, এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিনেতা। তাঁর দাবি এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন।

তুমি নেতাজি টলিউড ছাড়তে চলেছেন তা বৃহস্পতিবার তিনি এক ফেসবুক ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সকলের সামনে। তিনি স্বেচ্ছায় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ছেন। দাবি করেছেন তিনি জানেন না এরপরে জীবনে কী হবে। মানসিকভাবে প্রচন্ড হাঁপিয়ে উঠেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় কার কত ফলোয়ার্স তার উপর ভিত্তি করে এখানে কাজ দেওয়া হয় বলে দাবি করলেন নায়ক।

প্রসূন গাইনের ফেসবুক পেজে নজর রাখলেই দেখা যাবে তাঁর নতুন সিনেমা ভাসান-প্রাপ্তি দেখার অনুরোধ। অভিনেতা জানান ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরে প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। এটা কেউ প্রকাশ করতে পারে আর কেউ পারে না। যারা পারে না তারাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। অভিনেতা নিজের ফেসবুক পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন যে বিভিন্ন রকমের রাজনৈতিক ফরাসি প্রভাব একজন শিল্পীর জীবনটা শেষ করে দিতে পারে তার শিকার হয়েছেন প্রসূন গাইন।

Back to top button