আমি বিধায়ক হয়েছি বলেই বৌ পিঙ্কির এত রাগ! মনের টান বান্ধবী শ্রীময়ীর সঙ্গে, অকপট কাঞ্চন মল্লিক

বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তরপাড়ার তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে চলছে জল্পনা। সংবাদমাধ্যমে চলছে কাঁদা ছোড়াছুড়ি। এবার নিজের স্ত্রীর উদ্দেশ্যে সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক।

হঠাৎই অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনেতার বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি করেন। অভিযোগ ছেলের প্রতি বাবার দায়িত্ব ঠিকমত পালন করছেন না অভিনেতা। কাঞ্চন মল্লিক এখন প্রশ্ন তুলেছেন কেন এতদিন পর মুখ খুললেন পিঙ্কি? কেন বিধায়ক হওয়ার আগে নয়? অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে তাঁর কোনো অভিযোগ ছিল না কেন? অভিনেতার করা প্রশ্ন শুধু তাঁর একার নয়। জানতে চাইছেন অনেকেই।

অনেকের কাছে মনে হচ্ছে এটা পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। তবে এবার এদিক থেকে উত্তরপাড়ার তারকা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক জানিয়েছেন, বিয়ের কুড়ি দিনের মাথায় সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন পিঙ্কি। অভিনেতার মায়ের সঙ্গে থাকা যায়না বলে, তিনি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাতে অভিনেতা মত দিয়েছিলেন। অভিনেতা এতদিন কোনো বিষয় কাউকে কিছু জানাননি। তিনি বলেন, তাঁর বাবা-মা চলে যাবার সময় তিনি পিঙ্কিকে পাশে পাননি। সেই নিয়ে তিনি কোনো অভিযোগ করেননি।

কিন্তু আজ পিঙ্কির তরফ থেকে করা অভিযোগে অবাক হয়েছেন তিনি। গোটা বিষয় জানানোর পর অভিনেতা তথা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক জানান, সংবাদমাধ্যমে খবরের পর খবর দিকে তিনি বিভ্রান্ত হয়ে ফোন করেন পিঙ্কিকে। সামনাসামনি কথা বলার জন্য পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই অনুরোধ রাখেন না পিঙ্কি।

এরপরই তিনি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে রওনা হন চেতলা। তবে সেখানে গিয়ে তিনি শোনেন নিউ আলিপুরে দিদিশাশুড়ি সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পিঙ্কি রয়েছে দাদাকে নিয়ে। সেখানেও পান না। শোনেন পিঙ্কি ছেলেকে আনতে চেতলা এসেছে। এই বিষয়ে প্রবীণ অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখোমুখি কথা বললেই সব মিটে যায়। সেটা করবে কে!

এরপর বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক জানান, রাস্তায় পিঙ্কির সাথে তাঁর দেখা হয়। সে কথা বলতে চাইলে সেখানে পিঙ্কি চিৎকার করে ততক্ষণে লোক জড়ো করেন। সঙ্গে ছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজও। তিনি কথা বলতে চাইলেও, পিঙ্কি কথা বলতে চান না।

সংবাদমাধ্যমকে পুরো ঘটনা জানানোর পর কাঞ্চন মল্লিক বলেন, পিঙ্কি শ্রীময়ী চট্টরাজকে চেনেন না, তা নয়। যে ধরনের আচরণ পিঙ্কি করছে তাতে অবাক তিনি। তাঁর কাছে গোটাটাই একটা প্রশ্ন। তিনি জানেন না কেন আইনি পথ নেওয়া হচ্ছে। কেন আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

Back to top button