চরম মিথ্যাবাদী মেয়ে ঐন্দ্রিলা! এখন সাগ্নিক চক্রবর্তীর উপর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ আনছে সে, রেগে লাল নেটিজেনরা

গত রবিবার টলিপাড়ায় ঘটে গেছে একটা মর্মান্তিক ঘটনা। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দে’র। তারপর থেকে প্রচুর জলঘোলা চলছে এই মৃত্যু নিয়ে।ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে এটা আত্মহত্যা, কিন্তু পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ এটা খুন। তাদের অভিযোগ সাগ্নিক এবং তাদের বান্ধবী’ ঐন্দ্রিলা মিলে খুন করেছে পল্লবী কে।

এই ব্যাপারে ঐন্দ্রিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এক এক সময় এক এক কথা বলে বিভ্রান্ত করছেন সকলকে আর এই জন্যই রেগে গেছেন নেটিজেনরা। ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি সাগ্নিকের আজ থেকে সাত বছর আগে যে প্রেমিকা ছিলেন সেই সৌমি মন্ডলও সুইসাইড করেছিলেন। সেই সময় নাকি ঐন্দ্রিলা তাদের বাড়ি এসেছিলেন এমনটাই দাবি করেছেন সৌমির বাবা-মা।

অন্যদিকে ঐন্দ্রিলার সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন এবং সেখানে বলেছেন যে তিনি চার বছর ধরে পল্লবী কে চেনেন অথচ আমরা সকলেই জানি পল্লবী ঐন্দ্রিলার ছোটবেলার বন্ধু।ঐন্দ্রিলা বলেছিলেন সাগ্নিক কে তিনি পল্লবীর মাধ্যমে চেনেন কিন্তু ইন্টারভিউতে তিনি আবার বলছেন যে সাগ্নিকের সঙ্গে তো তার ছোটবেলা থেকেই চেনাশোনা কারণ তারা একসঙ্গেই বড় হয়েছেন।

পল্লবীর ফ্ল্যাটে তিনি নাকি দু তিনবার গিয়েছিলেন অথচ পরিচারিকা বলছেন যে পল্লবী না থাকলে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে একা ঘরে থাকতো সাগ্নিক।এই ব্যাপারে তিনি সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলছেন কিন্তু তিনি নিজে খুব ভালো করে জানেন ফ্ল্যাটে সিসিটিভি নেই।নিজের ফোনের কল লিস্ট চেক করতে বলছিলেন কিন্তু নেটিজেনরা বলছেন যে সেই কললিস্ট যে এতদিনে মুছে দেওয়া হয়নি তার কী প্রমাণ?

সবথেকে বড় কথা ঐন্দ্রিলা বলছেন, তাকে নাকি সাগ্নিক মলে’স্ট করার চেষ্টা করেছিল এবং সে কথা নাকি তিনি পল্লবীকে জানিয়েছিলেন তবে পল্লবী বলেছিলেন তিনি সাগ্নিক কে বোঝাবেন।অথচ তিন সপ্তাহ আগেই সাগ্নিক পল্লবী এবং ঐন্দ্রিলা মিলে একসঙ্গে ডিসকভারি পার্টি করেছে সেখানে সাগ্নিক এবং ঐন্দ্রিলাকে আমরা নাচতে দেখেছি। যে আমাকে মলে’স্ট করবে তার সঙ্গে আমি নাচবো? প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা।
Oindrila mukherjeeOindrila mukherjeeঐন্দ্রিলার পাড়ার বাসিন্দা বলছেন যে পরিবারটাই জঘন্য, ছোট থেকেই একে লিখছি।সব মিলিয়ে সকলেই বলেছেন যে এবার ঐন্দ্রিলাকে কাস্টডিতে নিয়ে জেরা করা হোক তাহলেই আসল সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।

Back to top button