Ritabhari Chakraborty: ‘চিন্তা কীসের এবার থেকে তো পুরুষরাও হবেন গর্ভবতী!’ দিদির বিয়েতে সাম্যর বার্তা দিতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে ঋতাভরী এবং দিদি চিত্রাঙ্গদা

২০২২ শেষ হওয়ার ঠিক আগেই বিয়ের মজে মেতে উঠেছিল টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর পরিবার। অভিনেত্রী দিদি চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তী সদ্য সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন টলিপাড়ার বহু নামী ব্যক্তিত্বরা। চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ পরিচিত মুখ। তাই তাঁর বিয়ের ছবি বেশ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু বিয়ের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমেরও বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন চিত্রাঙ্গদা। কিন্তু বিয়েতে এমন কি ঘটনা ঘটল যার জন্য এই ট্রোল?

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Ritabhari Chakraborty (@ritabhari_chakraborty)

ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদা সম্বিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন। বিয়ের দিনের বেশ কিছু মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করেন টলি সুন্দরী ঋতাভরী। আর সেখানেই একটি ছবিতে দেখা যায় স্বামী সম্বিতকে সিঁদুর পরাচ্ছেন স্ত্রী চিত্রাঙ্গদা। আর যা দেখে কটাক্ষের ঝড় ওঠে নেটিজনেদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, চিত্রাঙ্গদার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। আমরা জানি, ঋতাভরী নিজেও ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবিতে একজন মহিলা পুরোহিতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আর তাই তাঁর দিদির বিয়েতে মহিলা পুরোহিত থাকাটা আশ্চর্যের কিছু নয়।

May be an image of 2 people, beard and people standing

আমরা এখন প্রায়দিনই দেখে আসছি সামাজিক নিয়মে বিয়ের যে রীতি তা সময়ের সাথে অনেক বদল হয়েছে। এরূপ অনেক নিয়ম যুক্ত ও অনেক নিয়ম ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগেই আমরা এমন অনেক ভিডিও বা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি যেখানে মেয়ের বিদায়ের সময় ঋণ শোধ না করার প্রথা, কন্যা দানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ইত্যাদি নানান পরিবর্তন প্রকাশ্যে এসেছে। ছেলে – মেয়ে সমান, এটিকে মান্যতা দিয়ে এরূপ অনেক কাজ করার মাধ্যমে সকলের মানসিকতার পরিবর্তনের চেষ্টা করেছে অনেকেই। আর সেই একই কথা ভেবে ঋতাভরীর দিদি চিত্রাঙ্গদাও স্বামী সম্বিতকে সিঁদুর পরিয়ে দেন।

সাম্য প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই কাজ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এটা অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। ছবিটি সামনে আসতেই নেটিজেনদের একাংশ ক্ষেপে উঠেছে। নেটিজেনদের একাংশ কটাক্ষ করে বলেছেন, “এভাবেই যদি সমাজের নিয়ম বদলাতে থাকে তাহলে এবার পুরুষরাও গর্ভবতী হয়ে উঠবেন”। অন্য একজন লিখেছেন, “পূর্বপুরুষরা অনেককিছু ভেবেই এসব নিয়ম বানিয়েছিলেন। সাম্যর নামে এসব নিয়ে নোংরামো না করলেই হচ্ছিল না?”

আবার অনেকে এই যুক্তিও দেখিয়েছেন, “যদি সমাজের এসব প্রথা না মানার ইচ্ছা থাকে তাহলে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করলেও হয়। কিন্তু অহেতুক একটি সংস্কৃতিকে বিকৃত করার কোনও মানে হয় না”। নেটিজেনদের একাংশের দাবি, ঋতাভরী এবং তাঁর পরিবার এই কাজের মাধ্যমে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করেছেন। যদিও এখনও এই বিষয় নিয়ে ঋতাভরী-চিত্রাঙ্গদা বা তাঁদের পরিবারের কেউই মুখ খোলেননি। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেড়েই চলেছে বিতর্ক।

Back to top button