মিঠিঝোরায় প্রেমের জোয়ার! স্টেজে স্রোতের রূপ দেখে ভা’লোবাসার কথা বলে দিল সার্থক!

কথায় আছে, যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কারোর মাথায় দোষের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া খুব সহজ। হাতে ক্ষমতা থাকলেই ক্ষমতাহীনদের বিপদে ফেলার মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তেমনই এক চরিত্রের দেখা মিলছে জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠিঝোড়া (Mithijhora) ধারাবাহিকে। গল্পের অন্যতম নেতিবাচক চরিত্র সুদীপ্ত। টিআরপি তালিকায় (trp list) দীর্ঘ নিম্নগামী ফলাফলের পর বর্তমানে ধারাবাহিকটি একটু একটু করে জনপ্রিয়তার দিকে এগোচ্ছে।

এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের গল্পে, সুদীপ্ত কোম্পানি থেকে মোটা টাকা চু’রি করে, সেই টাকা ভোগ করার জন্য দায় চাপিয়ে দেয় রাইয়ের উপর। তারপর কারোর সঙ্গে কোনও কথা না বলে সোজা পুলিশ ডেকে আনে। অনির্বাণ বুঝে উঠতে পারে না এই পরিস্থিতিতে তার কী করা উচিত। একাধারে সে রাইকে বিশ্বাসী করে অপরদিকে টাকাগুলো না পেলে তার ব্যবসা ডুবে যাবে। রাই অনির্বাণের কাছে একটা সুযোগ চেয়ে নেয়। উদ্দেশ্য সে নিজেকে নি’র্দোষ প্রমাণ করতে চায়। এদিকে সুদীপ্ত একেবারেই চায় না রাই এই সুযোগটা পাক।

রাইকে সুযোগ দেওয়া নিয়ে যখন যখন অনির্বাণ ও সুদীপ্তর মধ্যে কথাবার্তা চলছে তখন সুদীপ্ত বলে বলে যদি এই সুযোগে রাই চম্পট দেয়। অনির্বাণ বলে মানুষের জীবনে আরেকটি সুযোগ পাওয়া উচিত। উনি যখন চাইছেন তবে সুযোগ দিতে ক্ষতি কি? তারচেয়েও বড় কথা রাইয়ের যাবতীয় আইডি রয়েছে অনির্বাণের কাছে। সে পালিয়ে গেলেও পুলিশকে তাকে খুঁজতে বিশেষ কসরত করতে হবে না।

উল্লেখ্য, সুদীপ্ত অনির্বাণকে বলে, এটা সে একদম ঠিক করল না। সময় যাবে বিপদ বাড়বে বই কমবে না। তখন অনির্বাণ বলে, তার মনে হয় না রাই এমন কাজ করতে পারে। তাই ওনাকে একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদি রাই প্রমাণ করতে না পারে সে নির্দোষ তবে সে শাস্তি খণ্ডাতে পারবে না।

এদিকে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না রাই। নিজেকে অপবাদের হাত থেকে বাঁচাতে এক ব্যক্তিকে ফোন করে বলে সে কিংশুক মুখার্জির বড় মেয়ে রাইপূর্ণা। সে কিছু কথা বলতে চায়। তবে ফোনে নয়। সামনাসামনি দেখা করে। তারপর অনির্বাণ রাইকে ফোন করলে সে বলে, “আমি পালিয়ে যাইনি আর আমি সঠিক সময় সব প্রমাণ দেব।”

আরো পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়ায় চাঞ্চল্যকর মো’ড়! মেহেন্দির অনুষ্ঠানে গ্রে’ফতা’র দীপা! অর্জুনের সঙ্গে দূর’ত্ব বাড়ল সোনা-রূপার

এদিকে স্রোতের কলেজের অনুষ্ঠান বন্ধের মুখে! সুদেষ্ণা আসেনি। তবে কলেজের অনুষ্ঠানতো এভাবে মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া যায় না। তাই স্রোত একমাত্র ভরসা। যদিও সার্থক স্যার তাকে দিয়ে এদিনের কাজ করাতে পারবে না। যে মেয়েটার নিজের উপর জোড় নেই সেই মেয়েটার কীভাবে কলেজকে উপস্থাপন করবে? তবে আর উপায় না দেখে শেষমেশ স্রোতকে দিয়ে অনুষ্ঠান করাতে বাধ্য হয় কলেজ। তবে স্টেজে স্রোতকে দেখে বেশ অবাক হয়ে যায় সার্থক। কারণ এমন ভাবে সে স্রোতকে কোনওদিন দেখেনি।

Back to top button