কেউ সেজেছে পাঞ্জাবি, কেউ বা সাধু, নানান রূপে সেজে কলকাতার রাস্তায় ‘সুপার সিঙ্গার’এর প্রতিযোগীরা, গানে-সুরে মন মাতালেন শহরবাসীর

কেউ চশমা পরা ছাত্রী, তো কেউ আবার পাঞ্জাবি, আবার কেউ নিয়েছেন সাধুর বেশ। এমন নানান ধরণের ছদ্মবেশ নিয়ে কলকাতার রাস্তায় নেমে গান করলেন ‘সুপার সিঙ্গার সিজন ৩’-এর প্রতিযোগীরা।

পথচলতি জনতাকে গান শুনিয়ে তাদের মন জয় করতে হবে, তাও আবার ছদ্মবেশে। এমনই ছিল তাদের চ্যালেঞ্জ। তবে শুধু গান-ই নয়, এর গান শোনাতে শোনাতেই যেন তৈরি হল নতুন গল্প, নতুন পরিচয়।

‘সুপার সিঙ্গার সিজন ৩’-এর মঞ্চে নতুন টাস্ক পেয়েছিলেন প্রতিযোগীরা। তাদের নানান রূপে সাজিয়ে দেওয়া হয়। কাউকে সাধু, কাউকে ছাত্রী ও আবার আবার কাউকে পাঞ্জাবি। রাস্তায় নেমে গান গেয়ে জনগণের মন জয় করতে হবে তাদের।

তারা গান করতেই পথচলতি মানুষ মুগ্ধ হলেন তাতে। সুচিস্মিতার গান শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ আট থেকে আশি। এই বয়স্ক মহিলা তো তাঁকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদও করলেন। কুমার গৌরবের গানে আপ্লুত হয়ে তাঁর হাতে টাকা দিয়ে গেলেন পথচলতি জনতা।

আবার সৌমির গানে মুগ্ধ হয়ে এক শিশু তাঁর সঙ্গে নিজের চকোলেট শেয়ার করে নেয়। তাদের এই অভিজ্ঞতার কথা সুপার সিঙ্গারের মঞ্চে এসে বিচারকদের জানান প্রতিযোগীরা।

এই সিজনে ‘সুপার সিঙ্গার’-এর বিচারকের আসনে রয়েছেন কুমার শানু, সোনু নিগম ও কৌশিকী চক্রবর্তী। এই শোয়ের সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন যীশু সেনগুপ্ত। প্রতিযোগীদের থেকে তাদের এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে আবেগে ভাসলেন সব বিচারকই।

এদিন বিচারকের আসনে বসে আশা ভোঁসলের সঙ্গে কাটানো এক মুহূর্তের কথা সকলকে জানালেন কুমার শানু। তিনি বলেন, “খুব বেশি হলে ৫-৬ বছর আগের কথা। আমার আর আশাজীর স্টেস পারফরম্যান্স করার কথা একটি অনুষ্ঠানে। আশাজী মঞ্চে ওঠার আগে আমি অভিবাদন জানাতে ওনার দিকে হাত বাড়ালাম। আশাজীর হাত ধরে দেখি বরফের মতো ঠাণ্ডা। আমি প্রশ্ন করলাম, আপনার হাত এত ঠাণ্ডা কেন আশাজী? উনি বললেন, ‘মঞ্চে ওঠার আগে ভয় করে।’ আমি অবাক হয়ে বললাম গান গাইতে মঞ্চে যেতে এখনও আপনার ভয় করে! উনি বললেন, ‘যতদিন ভয় করবে, যতদিন হাত ঠাণ্ডা হবে, ততদিন আমি সঙ্গীতশিল্পী থাকব। যেদিন হাত ঠাণ্ডা হবে না, ভয় করবে না, সেদিন থেকে আমি আর শিল্পী থাকব না”।

এই গল্প শুনে মঞ্চে উপস্থিত সকলেই অবাক হয়ে যান। বাকরুদ্ধ হ্যেব পড়েন যীশুও। এরপর কুমার শানু বলেন, “সুতরাং, ভয় পাওয়া জরুরি”। তাঁর এই কথায় হাততালিতে ভরিয়ে দেন সকলে।

Back to top button