নাটক! মান-অভিমানের পর্ব মিটিয়ে এবার হবে সত্যের উদঘাটন! রূপার অপারেশনের বাকি টাকা দিয়ে বাবার কর্তব্য পালন করল সূর্য

ধামাকাদার পর্ব স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-এ (Anurager Chhowa)। মান-অভিমানের পর্ব মিটিয়ে পর্দা উঠবে আসল সত্যি থেকে। সূর্য জানতে পারবে রূপার অসুখের কথা। রূপার চিকিৎসার বাকি টাকা দিয়ে বাবার কর্তব্য পালন করবে সে। ধারাবাহিকের পর্বে এই মুহূর্তে চলছে টান টান উত্তেজনা।

ইরা ডক্টর স্মিথের ট্রেনি। বিয়ের পর সূর্যের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিল সে। তারপর কোনো একটা দরকারে ফের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সূর্য ইরাকে বলে উনি ড্রপ করে দিয়ে আসবেন। কারণ মিশকা জেলের বাইরে। এখনও মরেনি। সে মানুষের ক্ষতি করতে দু’বার ভাবে না। এখন ইরার বিপদ পদে পদে। তাই তাকে হাসপাতালে ড্রপ করে দেওয়া অনেক নিরাপদ।

হাসপাতালে এসে সূর্য দেখে দীপা, রূপা, প্রবীর আর দীপার দাদা অটো নিয়ে এসেছে। খটকা লাগে সূর্যের! কি হয়েছে তার মেয়ের? মিশকার গাড়ি ধাক্কার পর যে অবস্থা হয়েছিল তা এখনও কি কাটিয়ে উঠতে পারেনি? তারপর ইরা আবার কথা বলছে দীপার সঙ্গে। কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা সূর্য।

ইরাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলে নানা ব্যস্ততা এসে পড়ে। সূর্য বারবার জিজ্ঞেস করতে থাকে একে ওকে। কিন্তু রোগীর তথ্য ফাঁস হাসপাতালের নিয়মবিরুদ্ধ। তাই হাসপাতালে কাউকে জিজ্ঞেস করে লাভ হয় না। সূর্য বুঝতে পারে দীপা, অর্জুন, তবলা বরাবর সূর্যকে দীপা সম্পর্কে কিছু বলতে চেয়েছে। তাহলে কি রূপার অসুস্থতার কথাই বলতে তারা বারবার ছুটে এসেছে?

এদিকে ড. স্মিথের চেম্বারে দীপা এলে দুজনের কথোপকথন খানিক শুনে নেয় সূর্য। ড. স্মিথও অর্জুনকে সোনা-রূপার বাবা হিসেবে চেনে। দীপাও কোনো বিরোধ করে না। এমন আবভাব যেন সত্যি দীপার স্বামী আর সোনা-রূপার বাবা অর্জুন। যা শুনে কষ্ট পায় সূর্য। সটান চলে আসে সেই মন্দিরে যেখানে তার ও দীপার বিয়ে হয়েছিল। ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতে থাকে আজ তার সব থাকতেও নেই। কেন এই কঠিন পরীক্ষা মুখোমুখি আজ সে?

Back to top button