অন্যায়কে প্রশ্রয় নয়! কঠিন পরিস্থিতিতে লোভী বাবার দিক থেকে মুখ ফেরালো কমলা! ভাঙল কি তবে বাবা-মেয়ের সম্পর্ক?

এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক অবশ্য‌ই কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (Komola O Sreeman Prithwiraj)। এই ধারাবাহিকটি (Bengali Serial) এক শ্রেণীর বাঙালি দর্শকদের কাছে ভীষণ প্রিয়। জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিকটির টিআরপি নিম্নমুখী হলেও ধারাবাহিকটির দর্শক প্রিয়তা কিন্তু হারিয়ে যায়নি।

এক সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার এই গল্প অতি সহজেই বাঙালি দর্শকের নজর কেড়েছিল।‌এই ধারাবাহিকে নেই তথাকথিত কূটকাচালি, বরং রয়েছে নারী শিক্ষা, সামাজিক বার্তার মতো বিষয়। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে এক শ্বশুরের তাঁর পুত্রবধূর প্রতি অপত্য স্নেহ। একজন স্বামীর তার স্ত্রীর প্রতি নিখাদ, স্বার্থহীন ভালোবাসার গল্প দেখানো হয়েছে। সেইসঙ্গে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও দেখা যাচ্ছে এই ধারাবাহিকটিতে।

ব্রিটিশ আধিপত্যে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর অত্যাচার, একশ্রেনীর লোভী মানুষের নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাহিনী এই ধারাবাহিকে প্রতিটা ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে। কমলা ও পৃথ্বীরাজের চরিত্রে শিশু অভিনেত্রী অয়ন্যা চ্যাটার্জী ও অভিনেতা সুকৃত সাহার অসামান্য অভিনয় দর্শকদের আর‌ও বেশি করে আকৃষ্ট করেছে।

এই ধারাবাহিকে উঠে এসেছে ইংরেজ শাসনে বাঙালি নারীদের চিত্র।‌‌ যদিও সেই আগল ভেঙেছে কমলা। এই ধারাবাহিকে যেমন শ্বশুর-বৌমার দারুণ সম্পর্ক দেখানো হয়েছে তেমনই দেখানো হয়েছে বাবা-মেয়ের দুর্দান্ত সম্পর্কের রসায়ন। যে বাবা সেই যুগে দাঁড়িয়ে মেয়ে কমলাকে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন রুদ্রপ্রতাপ। গান বাজনা বিদেশি আদব কায়দা সব দিকে পারদর্শী করে তুলেছেন।

কমলার বাবা ব্রিটিশদের তাবেদার। কিন্তু তার ভাইপো নিখিল একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। রায়বাহাদুর পদবীর জন্য ইংরেজদের আদেশে তিনি তার ভাইপোকে ধরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। যদিও কমলার স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবার তা মেনে নেয়নি। এই কারণে তাদের যথেষ্ট বিপদের মুখে পড়তে হয় তার পরিবারকে। যদিও এই মুহূর্তে ভীষণ বিপদে পড়েছে রুদ্রপ্রতাপ। এবার এসে সে কমলার শ্বশুর বাড়িতে থাকতে এসেছে সে। যদিও বাবার কুকীর্তির কারণে বাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কমলা।

Back to top button