ন্যা’কা নীলুর পর্দাফাঁস! মা হওয়ার মিথ্যে নাটক করতে গিয়ে শৌর্য্যর কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ল নীলু

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরায় (Mithijhora) তিন বোনের জীবনে চলে এসেছে নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই রাই চলে গেছে স্রোতের ঘরে। স্রোতকে গিয়ে রাই বলে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিতে কলেজ যেতে। তখন স্রোত রাইকে বলে কলেজের সব ঘটনা। রাই তখন স্রোতকে জিজ্ঞাসা করে কেন তার স্যার স্রোতের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে? স্রোত রাইকে উত্তরে বলে “আমি নিজেও জানে না স্যার তার সঙ্গে এরকম ব্যবহার কেন করেন। আর কারুর সঙ্গে স্যার এরকম ব্যবহার করেননা। আর আমি স্যারের সঙ্গে কিছু করিনি।”

তখন রাই বলে সে কলেজে হয়ে একবার কথা বলবে। কিন্তু স্রোত রাইকে বাধা দিয়ে বলে এসব করে কিছু হবে না তার স্যার খুবই খারাপ তাই সে ঠিক করেছে যেদিন যেদিন ওই স্যারের ক্লাস থাকবে সে কলেজে যাবে না। তখনই চলে আসে রাইয়ের বৌমণি। তিনি রাই আর স্রোতকে বলেন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে কলেজ আর অফিসের জন্য বেরিয়ে পড়তে। তখন স্রোত তাকে বলে সে কলেজে যাবে না। তখন বৌমণি জিজ্ঞাসা স্রোতকে কলেজ না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।

কিন্তু স্রোত সবটা বুঝিয়ে বলার আগেই সেখানেই চলে আসে রাইয়ের মা নন্দিনী। তিনি রাইকে বলে এইভাবে বাড়িতে আসে খেয়ে রোজ অফিসে গেলে চলবেনা। তাকে বাড়ির কাজ করে তারপর অফিস যেতে হবে। এটা শুনেই বৌমণি বলে “আমরা বাড়িতে এতজন লোক আছি আমরা করে নিলেই তো হয়, ওর রান্না করার কি আছে। ও বাইরেটা সামলাচ্ছে সামলাক।” তখনই নন্দিনী বলেন না এরকম করলে হবে না রাইকে শাকগুলো কেটেই অফিসে যেতে হবে।

তখন রাই বৌমণিকে বলে সে সব করে নেবে। কিন্তু স্রোত প্রতিবাদ করে রাইকে বলে “দিদি যত তাড়াতাড়ি পারবি একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে এখান থেকে চলে যা। প্রথমে নীলু দিদি এখন আবার মা শুরু করেছে। তোর কদর কেউ করেনা।” মেয়ের মুখে এই কথা শুনে নন্দিনী আরও রেগে যান তিনি স্রোতকে বলেন চুপ করে থাকতে। কিন্তু স্রোতও জানিয়ে দেয় যে ভুল দেখলে সে এইভাবে চুপ করে থাকবে না। রাই তখন বলে সে সবটা করেই যাবে। সে বাড়ি আর অফিস দুটোই সামলে দেখাবে। রাই এরপর মনে মনে ভাবে নীলু মা হচ্ছে কোন বড় আনন্দের খবর।

ওদিকে নীলু শৌর্য্য অফিস যাওয়ার সময় তাকে জড়িয়ে ধরে। তখন শৌর্য্য তাকে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে। তখন নীলু বলে এই সময় মুড ঠিক থাকেনা সবসময়। তখন শৌর্য্য বলে আজ বিকেলে তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। কিন্তু নীলু তাকে বলে এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই তারা পরে যাবে। কিন্তু তখনই শৌর্য্যর মা বলে এইসব নিয়ে গাফিলতি না করে ডাক্তার দেখিয়ে আসতে। নীলু তখন বলে তাক বাবার খেয়াল রাখতে তবে কিন্তু তার কোন কথাই শুনতে নারাজ শৌর্য্য। তাহলে কি এবার ধরা পড়বে নীলু?

Back to top button