বেবি বাম্প নিয়ে নার্সিংহোমে কাঁদো কাঁদো রাণী, দুর্জয়কে খুঁজতে এসে অনিশাকে উচিত শিক্ষা দিল সে

বাংলা টেলিভিশনের বিনোদনমূলক চ্যানেলগুলির মধ্যে অন্যতম স্টার জলসা (Star Jalsha)। কিন্তু নতুনের আগমনে বিদায় নিচ্ছে বিনোদন চ্যানেলগুলির পুরোনো ধারাবাহিক। টিআরপি (TRP) তালিকায় টপ টেনে স্থান ধরতে না পারার জন্য মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক ধারাবাহিক। আর এই আসা-যাওয়ার মাঝে গত বছর নভেম্বরে জলসার পর্দায় এসেছে ব্র্যান্ড নিউ ধারাবাহিক ‘তোমাদের রাণী’ (Tomader Rani)

প্রথম প্রোমো প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল ফেলেছিল ছোট পর্দার দর্শকমহলে। একজন অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সফল ডাক্তার হওয়ার লড়াই দেখতে উৎসুক ছিল ধারাবাহিক প্রেমীরা। এই মুহূর্তে গল্পে চলছে টান টান উত্তেজনা।

বর্ষবরণের রাতে বাড়ি ফেরেনি দুর্জয়। রাণীকে ফোনে জানিয়েছে সে হাসপাতালে ব্যস্ত আছে। অনেক রোগী দেখতে হবে আজ রাতে। আদপেও এমনটা কিছুই নয়। দুর্জয়ের শরীর খারাপ লাগার জন্য অনিশা দুর্জয়কে ওষুধ দেয়। কিন্তু সেই ওষুধ খেয়ে আর মাথা তুলতে পারেনা দুর্জয়। এই সুযোগে অনিশা তাকে নিয়ে যায় তাঁর বাড়িতে।

এদিকে তাঁর শরীর খারাপ দেখে রাণী চিন্তা করবে বলে বাড়ি ফিরতে চাইছিল না দুর্জয়। কিন্তু বছর শেষের দিনটা রাণীকে ছাড়া কাটাতে ইচ্ছে করে না তাঁর। তাই বারবার রাণীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু অনিশা দুর্জয়কে পাওয়ার চেষ্টায় উন্মত্ত। বারংবার সে দুর্জয়কে তাঁদের পুরোনো দিনের মনে করাতে থাকে। এমনকি এও বলে, রাণী ও তাঁদের সন্তান যদি দুর্জয়ের জীবনে থাকতে চায়, থাকতে পারে।

তবে অনিশা আর দুর্জয়ের কথা ফোনে শুনে নেয় রাণী। বুঝতে পারে দুর্জয় স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। তাই সেদিন রাতেই কাউকে কিছু না জানিয়ে, রীতমের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে দুর্জয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে রাণী। প্রথমেই আসে নার্সিংহোমে।

নার্সিংহোমের সকলে রাণীকে জানায়, দুর্জয় অনেকক্ষণ আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। সঙ্গে ছিলেন ডক্টর অনিশা। এই কথা শুনে কষ্ট পায় রাণী। দুর্জয় তাঁকে মিথ্যে কথা বলল কেন? যদিও এই কথা জানার জন্য দুর্জয়কে দরকার। সেই বা কোথায় এখন?

You cannot copy content of this page