আমিই বিষ খাইয়েছি পরাগ দা’কে! সাঁড়াশি চাপে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিল প্রতীক্ষা

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলছে শিমুলের বিরুদ্ধে কেস। পরাগকে বিষ খাওয়ানোর অভিযোগে গ্রেফতারি হয়েছে শিমুল। প্রথম দিনের হাজিরায় মধুবালা দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জর্জ। তিনি বলেছিলেন তার বৌমা খুব ভালো মেয়ে সবসময় তার পাশে থেকেছে, তাকে সবসময় মায়ের মত ভালোবেসেছে কিন্তু সে ছাড়া এ কাজ আর কে করবে তাই তিনি তাকে সন্দেহ করেন।

পরেরবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় কাকিমাকে তিনি বলেছেন শিমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ভালো। শিমুল পরিবারের সকলকেই খুব ভালোবাসে এবং সবার জন্য সব কিছু করে বরং এই পরিবারের কেউ কখনও শিমুলকে সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়নি, সবসময় তাকে অপমান করছে তাচ্ছিল্য করেছে। কাকিমা এও জানান যে শিমুল পরাগকে কখনও বিষ দিতে পারে না বরং পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষাই পুজোর সময় শিমুলকে বিষ দিয়েছিল তাও সে পুলিশের কাছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি বরং তাদের থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা মধুবালা দেবী এবং পুতুলের নামে ব্যাঙ্কে জমা করেছে তাদের ভবিষ্যতের জন্য।

সেই কথাকে সমর্থন করে বিপাশাও। সেও জানায় যে সেও মনে করে না এইরকম একটা কাজ শিমুল করতে পারে। তবে ধারাবাহিকে আসতে চলেছে নতুন চমক। নিজের মুখেই সব স্বীকার করবে প্রতীক্ষাই। জানা যাচ্ছে পরাগকে কাঠগড়ায় ডাকবে আরাধনা। তাকে জিজ্ঞাসা করবে সে বিয়ের দিন কি কি খেয়েছিল? তার উত্তরে পরাগ বলেছে “আমি শুধু চা খেয়েছিলাম।” তখন আরাধনা তাকে জিজ্ঞাসা করে সেই চা তাকে কে এনে দিয়েছিল। তার উত্তরে পরাগ জানায় প্রতীক্ষা তাকে চা এনে দিয়েছিল।

যদিও পরাগ বলে যে প্রতীক্ষা তার ক্ষতি করতে পারেনা। তখন আরাধনা তাকে থামিয়ে যেতে বলে এবং কাটগড়ায় ডাকে প্রতীক্ষাকে। নিজের নাম শুনে ভয় পেয়ে যায় প্রতীক্ষা। তাকে আরাধনা জিজ্ঞাসা করে সে কি চা টা বানিয়ে দিয়েছিল। সে উত্তর দেয় হ্যা। আরাধনা তাকে বলে যে, সে বাড়িতে কখনও একটা কাজও করে না তখন হটাৎ সে পরাগের জন্য চা বানিয়ে নিয়ে গেছিল কেন? তখন প্রতীক্ষা বলে সকলে ব্যস্ত ছিল তাই, কিন্তু সে বিষ মেশায়নি। তখন আরাধনা বলে সে যে চায়ে বিষ মিশিয়েছে তার প্রমাণ তার কাছে আছে একজন প্রত্যক্ষদর্শি আছে তখন প্রতীক্ষা বলে সেটা হতে পারেনা কারন সে যখন বিষ মিশিয়ে ছিল তখন সেখানে কেউ ছিল না।

আরো পড়ুন: অনির্বাণের প্রশ্নে ঠোঁটকাটা জবাব বিপাশার! উত্তেজিত হয়ে নিজেদের বিপদকে আরও বাড়িয়ে ফেলল পলাশ-প্রতীক্ষা

তখন সকলে জানতে পারে প্রতীক্ষাই বিষ মিশিয়েছে। তার কাছে কারণ জানতে চাওয়ায় সে বলে তার সঙ্গে পরাগের কোনও শত্রুতা নেই, শিমুল তার অতীত ঘটছিল। পরাগদাকে বিষ দিলে তার দোষ শিমুলের ঘাড়ে যেত, ফলে ওই বাড়ি আমি দখল করতে পারতাম এবং তীর্থঙ্করের আসা বন্ধ হত ফলে কেউ আমার ব্যাপারে কিছু জানতে পারত না। তাহলে আপনাদের কি মনে হয় সব শোনার পর কি হবে ব্যানার্জী বাড়ির প্রতিক্রিয়া?