পাল্টিবাজের দল! বিপদ বুঝে দীপার কাছে ক্ষমা চাইলেন লাবণ্য সেনগুপ্ত! সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল দীপা

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। টিআরপি (TRP) তালিকায় এগিয়ে থাকা এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে এক মায়ের নিরন্তর লড়াইয়ের কাহিনী। মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলতে তাঁর অসহায় মা কিভাবে একতরফা লড়ে যান তা ফুটে উঠছে ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্বে। এই গল্পের নায়িকা দীপা মেয়ে রূপার অপারেশনের টাকা জোগাড় করতে পরিশ্রম করে চলেছে দিন রাত। কিন্তু পরিস্থিতির যেন ক্রমে কঠিন হয়ে উঠছে তাঁর জন্য।

সেনগুপ্ত পরিবার থেকে অপমানিত হয়ে দুই মেয়ে সোনা, রূপাকে নিয়ে ঘর ছেড়েছিল দীপা। তারপর থেকে সমানে সংগ্রাম করে চলেছে সে। নায়ক সূর্য -সহ সেনগুপ্ত পরিবারের অনেকেই অপমান ও রূঢ় কথায় বারবার গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাঁকে। তাও হার মানেনি ‘মা’ দীপা। আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের কেসওঠে। অবশেষে সূর্যর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় দীপার। কিন্তু মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে সূর্য।

এদিকে মিশকা তাঁর পথের কাঁটা রূপাকে সরাতে নোংরা চক্রান্ত করে। পথে অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে সে রূপাকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলতে চায়। কিন্তু সেই শেষমেশ দীপার ডাকেই কোলে ফিরে আসে তাঁর একরত্তি মেয়ে। কিন্তু এখানেই সংগ্রাম শেষ কই? রূপার জটিল রোগ ধরা পড়ে। যার চিকিৎসার খরচ

বিশাল। অপারেশনের টাকা জোগাড় করতে শেষে পথে নামে রূপার মা। এদিকে সেনগুপ্ত বাড়িতেও একের পর এক ঝড় লেগেই রয়েছে। বাড়ি থেকে পালিয়ে ভিক্টরের সঙ্গে বিয়ে সারে তিস্তা।

এদিকে, রূপা বাঁচতে চায়। সে তাঁর মাকে বলে তাঁর আকাঙ্ক্ষা। মেয়েটা কোনোদিন তাঁর মায়ের থেকে কিচ্ছু চায়নি। এখন সে বাঁচতে চাইছে। আর তাই মেয়েকে বাঁচাতে নিজের সমস্ত অপমান ভুলে ফের সেনগুপ্ত বাড়িতে হাজির হয় দীপা। লাবণ্য সেনগুপ্তর পায়ে পড়ে মেয়ের প্রাণভিক্ষা চায় সে। এমন সময় সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হয় মিশকার পাপাই।

সরখেলকে দিয়ে চূড়ান্ত চাল চেলেছে মিশকার পাপাই। সেনগুপ্ত বাড়ির অধিকার এখন তাঁদের। উকিল জানায় লাবণ্য সেনগুপ্ত নিজে বাড়ির অধিকার হস্তান্তর করেছেন। একথা শুনে সেনগুপ্ত পরিবারের মাথায় যখন আকাশ ভেঙে পড়ে, তখন নিজের প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির হয়ে রুখে দাঁড়ায় দীপা। সে বলে, এই বাড়ি সে ফিরিয়ে আনবেই। তাঁরা আইনি পথে লড়ে সেনগুপ্ত বাড়িকে ফিরিয়ে আনবে। ততদিন দীপার একচালা ঘরে ঠাঁই হবে এ বাড়ির সকল সদস্যের। এহেন বিপদের সময় দীপার পাশে এসে দাঁড়ানো দেখে চোখে জল আসে লাবণ্য সেনগুপ্তর। দীপার কাছে গিয়ে গোটা পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চান তিনি। এরপর দীপার লড়াই আরও কঠিন হল। একদিকে রূপাকে বাঁচিয়ে

তোলা সেনগুপ্ত বাড়ির ছাদ ফেরানো। একা হাতে সবটা সামলে জিততে পারবে সে?

Back to top button