একের পর এক নতুন ধারাবাহিকের আগমন আর দুমদাম সময় পরিবর্তন পুরনোদের! বিরক্ত হচ্ছেন দর্শকরা, সোশ্যাল মিডিয়া ভরে যাচ্ছে তাদের প্রতিবাদে

বর্তমান দিনে মানুষের বিনোদন ভীষণ প্রয়োজন। সারাদিন কাজ কর্মের চাপে ক্লান্ত শরীর এবং মন বাড়ি ফিরে একটু রিলাক্স করতেই চায় সেই জন্যেই অনেকে ধারাবাহিক দেখেন আবার অনেকেই মোবাইলে সময় পেলেই রাতে ঘুমাবার আগে পছন্দের ধারাবাহিকগুলো দেখে নেন। এইতো গেল অফিস বা কাজকর্ম করা মানুষ যারা ধারাবাহিক দেখেন তাদের কথা কিন্তু অনেকেই রয়েছেন যারা শুধুমাত্র টিভিতেই ধারাবাহিকগুলো দেখেন। বিশেষ করে গৃহবধূরা সন্ধ্যাবেলায় টিভির সামনে বসে ধারাবাহিক দেখতে অভ্যস্ত, সবাই এখনই হটস্টার বা জি ফাইভে অভ্যস্ত হয়ে পড়েনি।

বিগত এক মাস ধরে আমরা দেখছি যে হঠাৎ হঠাৎ করে ধারাবাহিকের সময় বদলে দেওয়া হচ্ছে এবং নতুন ধারাবাহিকের আগমন বার্তা ঘোষণা করা হয়েছে। পিলু দেখানো হতো সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বর্তমানে সেটা নিয়ে আসা হয়েছে সন্ধে ছটায়। সাড়ে ছটায় এখন দেখানো হয় নতুন ধারাবাহিক খেলনা বাড়ি।অন্যদিকে উড়ন তুবড়ি কে দেখানো হতো সন্ধে ছটায় সেটা এখন চলে এসেছে রাত দশটায় আবার এরপরে চৌঠা জুলাই থেকে সেটা দেখা যাবে রাত সাড়ে দশটায়। কারণ রাত দশটা থেকে আসছে নতুন ধারাবাহিক বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি। আগের রাত দশটায় হতো আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় বর্তমানে সেটাকে রাত নটায় নিয়ে আসা হয়েছে।

স্টার জলসায় সন্ধে সাড়ে ছটা থেকে বর্তমানে দেখানো হচ্ছে বৌমা একঘর কিন্তু আগামী সপ্তাহ থেকে সেটা চলে যাবে রাত দশটায়। অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আগামী সপ্তাহ থেকে দেখানো হবে সাহেবের চিঠি। সব মিলিয়ে বারংবার এই সময় বদলানো তিতিবিরক্ত দর্শকরা।অনেকেই এমন ছিলেন যারা খাওয়ার সময় রাত দশটায় হয়তো একটি নির্দিষ্ট ধারাবাহিক দেখতেন কিন্তু তার সময় বদলে যাওয়ায় এখন তারা রাত দশটার সময় কিছুই দেখতে পারেন না।

এরকমভাবে বারংবার ধারাবাহিকের সময় বদলানো‌ নিয়ে বিশেষ করে উড়ন তুবড়িকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করার পর মানুষের আর ভালো লাগছে না।তারা বলছেন যে যদি জি বাংলার মনে হয় যে উড়ন তুবড়ি একদম চলছে না তাহলে ধারাবাহিকটাকে বন্ধ করে দিলেই হয়। খামোখা তাকে নিয়ে একবার এই সময় একবার ওই সময় করার তো কোন দরকার নেই।

বৌমা একঘর ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ করে সময়টা বদলে দেওয়া হলো রাত দশটায় ফলে অনেকেই চাইলে দেখতে পাবেন না। কোনরকম সমীক্ষা না করে এভাবে চ্যানেলের খামখেয়ালিপনায় বিরক্ত সাধারণ দর্শক।

Back to top button