Guddi: মিঠাইয়ের কপি করে ডুপ্লিকেট চরিত্র এনেছে গুড্ডি! কটাক্ষ হজম করলেও মা-মেয়ের জোড়া চরিত্রে সৌমীতৃষার মতোই নজর কাড়ছেন ‘শ্যামৌপ্তি!’ মুগ্ধ নেটিজেন

বহুদিন ধরেই বহু বাংলা ধারাবাহিকের গল্প লিখে চলেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। বিভিন্ন সময় বাংলা ধারাবাহিকে রাজত্ব করা একাধিক গল্প তিনি লিখেছেন। তাঁর কলম দিয়েই বেরিয়েছে বাংলা টেলিভিশন প্রিয় দর্শকদের মন জিতে নেওয়া বিভিন্ন সব ধারাবাহিক। দারুণ গল্প, চমকে দেওয়া প্লট, আধুনিক সব নাম তাঁর‌ই মস্তিষ্ক প্রসূত।

তবে মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু ধারাবাহিকের উদ্ভট গল্পের জন্য কটাক্ষের মুখে পড়েন তিনি। অনেকেই সেইসব দেখে লীনা দেবীর লেখা গল্পকে এককথায় ‘গাঁজাখুরি’, ‘পরকীয়ার আখড়া’ বলেন। এই মুহূর্তে লীনা দেবীর লেখনীতে স্টার জলসার পর্দায় চলছে অন্যতম জনপ্রিয়, বিতর্কিত ধারাবাহিক ‘গুড্ডি।’ প্রাথমিক পর্যায়ের মূল গল্প হারিয়ে এখন সম্পূর্ণভাবে একটি গাঁজাখুরি ধারাবাহিকে পরিণত হয়েছে গুড্ডি‌।

যদিও এখন এই ধারাবাহিক বিরাট বড় লিপ নিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বিতর্ক এই ধারাবাহিকের পিছু ছাড়তেই চাইছেই না। আর তাই যথারীতি বিতর্ককে সঙ্গী করেই শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব। ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্বে দেখানো হচ্ছে অনুজের ছেলে পুবলুকে হুবহু অনুজের মতো দেখতে হয়েছে। অর্থাৎ এই চরিত্রে দেখা যাচ্ছে রণজয় বিষ্ণুকেই। বাবার ছেলে নাহয় বাবার মতোই দেখতে হয়েছে মানা গেল কিন্তু গুড্ডির পালিতা কন্যা কীভাবে অবিকল গুড্ডির মতো দেখতে হল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।

সে যাই হোক দ্বিতীয় পর্বেও যে ত্রিকোণ প্রেমের গল্প দেখানো হবে তা বলা বাহুল্য। ইতিমধ্যেই তার আভাস পেয়েছেন দর্শকরা। এই ধারাবাহিকে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী শ্যামৌপ্তি মুদলি। একদিকে প্রাণ চঞ্চল রেশমি অন্যদিকে ব্যক্তিত্বধারী গুড্ডি। দুই চরিত্রে এখন দর্শকরা দেখছেন অভিনেত্রীকে।

উল্লেখ্য, এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এক বছর ধরে গুড্ডিকে দর্শকরা ভালবাসা দিয়েছেন। আগে কথা তেমন হত না। তবে এখন আমি আর রণজয়দা ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছি। আর তাই রেশমি আর ঋতুরাজের সমীকরণটাও অনুজ-গুড্ডির থেকে আরও গভীর হবে বলে আমি মনে করছি।

দ্বৈত চরিত্রে শ্যামৌপ্তির অভিনয় দর্শকদের মনে ধরেছে। তাঁদের কথায়, লেখিকার গল্প লেখার দোষে শ্যামৌপ্তি তাঁর প্রাপ্য প্রশংসাটা সেভাবে পাচ্ছে না। তাঁদের কথায়, কটাক্ষ করলেও মা ও মেয়ে দুটোই এতো সুন্দর করে তুলে ধরেছে শ্যামৌপ্তি। গল্পটা এখন একদম বদলে গেছে শুধু লেখিকা আর না ঘাটলেই হবে। যদিও কটাক্ষকারীরা বলছেন মিঠাইয়ে দ্বৈত চরিত্র মিঠিকে দেখেই নাকি গল্প ঝেঁপেছেন গুড্ডির লেখিকা।

Back to top button