ভাঙবে তবু মচকাবে না! কোর্টে সব স্বীকার করেও মিশকা বলল ভালোবাসা আর যুদ্ধে সব চলে! আজ চরম পর্ব

এই মুহূর্তে অন্যতম নাটকীয় সিরিয়াল হয়ে উঠেছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। গল্পে যেমন বিভিন্ন রকম চরিত্র রয়েছে, তাদের নানারকম শেড রয়েছে তার পাশাপাশি একের পর এক চমক রয়েছে প্রতিটি পর্বে। তবে সবথেকে বেশি আলোচনায় থেকেছে সূর্য সেনগুপ্ত, দীপা আর সূর্যর বেস্ট ফ্রেন্ড মিশকা সেন। এই তিনজনের মধ্যে দীপার সঙ্গে মিশকার সম্পর্ক একেবারে আদায় কাঁচকলায়। কারণ দুজনের ভালবাসা সূর্য। তাই দীপা যেমন নিজের সিঁথির সিঁদুরের জোর দেখাচ্ছে তেমন মিশকা নিজের বুদ্ধির জোর দেখিয়েছে।

মিশকা প্রেগন্যান্ট

তবে নানাভাবে সূর্যকে পাওয়ার চেষ্টা করতে থাকলেও বারবার ব্যর্থ হয় মিশকা। এরপর সে বুঝতে পারে দীপার কাছ থেকে সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে হলে একটা জিনিস করতে হবে যেটা সূর্য ইতিমধ্যে করে দেখিয়েছে। তা হল সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা। তাই এবার সূর্য র স্পার্ম নিয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে মিশকা। কারণ এতে মিশকা বুঝতে পেরেছে যে সন্তান এলে আর সূর্য তার থেকে দূরে থাকতে পারবে না।

মিশকার ছদ্মবেশ

এই এক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকরা সবথেকে বেশি অবাক হয়েছে যা জিনিস দেখে তা হলো মিশকার ছদ্মবেশ। চা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ডাক্তার তার আগে বুড়ি ঠাকুমা তারপর সাধিকা সবরকম লুক দেওয়া হয়েছে তাকে। আর এই সমস্ত ছদ্মবেশে ধারণ করেছে যাতে সে সূর্যের কাছে পৌঁছাতে পারে, নিজের ভালোবাসাকে চোখের দেখা দেখতে পারে। তবে এর জন্য সে নিজের অজান্তেই সূর্যকে সবথেকে বড় বিপদে ফেলেছে। কারণ সে খুনের দায়ে সূর্যকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

আজকের পর্বে

আজকের পর্বে দেখা যায় যে মিশকাকে মূল সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে কোর্টে হাজির করে দীপা। আর এভাবে যাকে খুন করার মামলায় শেষমেষ আদালত রায় দিয়ে দেয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিলের তাকে সশরীরে উপস্থিত থাকতে দেখে আদালতের প্রত্যেকে রীতিমত চমকে যায়। এমনকি সূর্য আর মিশকার স্যার এবং সহকর্মী ক্ষমা চেয়ে নেয় নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে।

এরপর কাঠগড়ায় তোলা হলে মিশকা নিজের সমস্ত ভুল স্বীকার করে নেয়। তবে তার জন্য তার মনে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই বরং সে বারবার মহামান্য আদালতকে বলতে চায় যে সে যা কিছু করেছে সে সমস্ত কিছু একদিকে তার কাছে ভালোবাসা অন্যদিকে একটা যুদ্ধ ছিল। ভালোবাসা ছিল কারণ মিশকা সূর্যকে ভালবেসে এই সমস্ত কিছু করেছে যাতে সে সূর্যকে পেয়ে যায় আর অন্যদিকে যুদ্ধ কারণ দীপার কাছ থেকে সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে চেয়েছে সে। সে বলে “এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার”। সম্পূর্ণ নাটকীয়ভাবে ঘটনাটা অন্যদিকে মোড় ঘোরাতে চেয়েছে সে। এরপরেই নিজের মা হওয়ার কথা বলে সে। মিশকা দাবি করে সে সূর্যের সন্তানের মা হতে চলেছে কিন্তু সূর্য তাদেরকে স্বীকার করছে না বলেই সে এই কাজটা করতে বাধ্য হয়েছে। এরপরে সে আস্তে আস্তে নিজের করা আগের সমস্ত ভুল স্বীকার করতে থাকে। তবে সেদিন কি ঘটনা ঘটেছিল? মিশকা জানায় যে সেদিন গুলি চলেছিল কিন্তু মিশকা কী করবে সে তো আসলে সূর্যকে ভালোবাসে।

Back to top button