জব্বর খবর! বন্ধুর ছেলে নয়! নীলের সঙ্গে মেঘের বিয়ে দিতে অবশেষে রাজি অনিন্দ্য বাবু! মিলনের আশায় ভক্তরা

বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Television) পর্দায় এমন কিছু কিছু ধারাবাহিক রয়েছে যে ধারাবাহিকগুলো (Bangla Serial) বাঙালি দর্শকদের কাছে দারুণ রকমের জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বলাই বাহুল্য এই ধারাবাহিকগুলির দর্শক মনে এতটাই প্রভাব যে সন্ধ্যা হতে না হতেই টিভির সামনে বসে পড়েন আপামর বাঙালি টেলিভিশন প্রেমীরা।

বলাই বাহুল্য, বাঙালি দর্শকরা দারুণ মনোযোগ সহকারে এই ধারাবাহিক গুলি দেখেন। আর এই মুহূর্তে জনমানসে দারুণ রকম প্রভাব বিস্তারকারী ধারাবাহিকের নাম ইচ্ছে পুতুল। প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্ত রকমের কটাক্ষকে উপেক্ষা করে ধারাবাহিকটি সাফল্যের সঙ্গে এখন এক বছরের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে।

বাঙালি দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকটিকে নিজেদের অত্যন্ত প্রিয় এবং পছন্দের একটি ধারাবাহিক বলে গণ্য করেছেন। এই ধারাবাহিকের গল্পে বেশ কিছু সম্পর্কের সমীকরণ বিশেষভাবে পছন্দের দর্শকদের। আর এরমধ্যে অন্যতম হল এই ধারাবাহিকের নায়িকা মেঘ ও বাবা অনিন্দ্য রায়ের সম্পর্ক।

একজন বাবা ঠিক কতটা আদর্শবান হতে পারেন তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন মেঘের বাবা। মেয়েদের সদাই সৎ পথে থাকার উপদেশ দিয়েছেন তিনি। এবং সেই রাস্তাও দেখিয়েছেন। ছোট মেয়ে মেঘ চিরকাল‌ই বাবার সেই পথ অনুসরণ করেছে। বাবাকে কোনদিনও নিরাশ হতে দেয়নি সে। কারন সে জানে তার ভালোর জন্য একমাত্র তার বাবাই ভাবে।

একটা সময় মেঘের স্বামী নীলকে অত্যন্ত স্নেহ করলেও বার বার নীল মেঘেকে কষ্ট দিয়েছে। বিশ্বাস ভেঙেছে মেঘের বাবার। আর যে ছেলে তার প্রাণপ্রিয় ছোট মেয়েকে কষ্ট দিয়েছে সেই ছেলেকে কোন‌ও ভাবেই ক্ষমা করতে নারাজ মেঘের বাবা। এমনকি নিজের আদরের ছোট মেয়েকে তার হাতে তুলে দিতেও আর চাননা তিনি।

আরও পড়ুনঃ ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নিভল জীবন প্রদীপ! প্রয়াত মৃণাল সেনের সৃষ্টি অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার

আর তাই মেঘের জন্য উপযুক্ত পাত্রের খোঁজ করছিলেন তিনি। তবে মেঘ ভালোবাসে নীলকে। এমনকি নীলের চোখেও মেঘের জন্য ভালোবাসার আকুতি দেখেছেন তিনি। আর তাই এবার শুধুমাত্র মেয়ের ভালোর জন্য নিজের রাগ জেদকে বিসর্জন দিয়ে নীলের হাতেই মেঘকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনিন্দ্য বাবু। আর তাই যথারীতি মেঘের বাবার এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি ইচ্ছে পুতুল ধারাবাহিকের ভক্তরা। অর্থাৎ এবার মেঘ-নীলের মিলন অবশ্যম্ভাবী।

Back to top button