উদ্যালক বসুই বাবা জেনে চমকে উঠল খিলখিল! কী অঘটন ঘটবে কোজাগরীর সংসারে?

স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক জল থই থই ভালোবাসা (Jol Thoi Thoi Valobasa) ধারাবাহিকটি ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়েছে কোকো এবং টিটোর তবে বিয়ের পর থেকেই হটাৎ বদলে যায় কোজাগরী বসুর জীবন। অপরাজিতা অর্থাৎ উদ্যালকের বান্ধবী আসে তাদের বাড়িতে যদিও তাকে ঘিরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় সেটা মিটে যায় কিছু সময়ের মধ্যেই। ওদিক অপরাজিতা জেনে যান খিলখিলের বাবা হলেন উদ্যালক বসু। তাই তিনি খিলখিল বলেন সবকিছু গুছিয়ে তৈরি হয়ে নিতে তার বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য।

তবে ময়ূরাক্ষী বাধা দেয় তাকে কিন্তু তিনি কোনও কথায় শুনতে চাননা। কিন্তু অপরাজিতা মনে মনে ভাবেন যখন এইসব কিছু কোজাগরী বসু জানিতে পারে তাহলে কি হবে। সে কিভাবে সবটা সহ্য করবে সেই কথাই বারবার ভাবতে থাকে অপরাজিতা। ওদিকে বসু বাড়িতে তোতা আসে জেদ করতে থাকে কোজাগরী কাছে যাওয়ার জন্য কিন্তু তাকে বারণ করে দেন উদ্যালক বসু। তিনি বলেন কোজাগরী সঙ্গে এইভাবে দেখা করতে যাওয়া যাবে না তখনই ওখানে চলে আসে টিনটিন আর টিটো।

টিনটিন তোতাকে বলে বাচ্চাদের মতো জেদ না করতে তাদের মা ওখানে গেছেন রান্নার কোর্স করতে আর সেটা শেষ হলেই চলে আসবেন তিনি। কিন্তু সেই কথা নিয়েই ঠাট্টা তামাশা করতে থাকে টিনটিন। তোতা তাকে চুপ করতে বলে কিন্তু সে কোনও কথায় শুনতে চায়না। তখন তোতা বলে তার মা ছিল বলেন তারা সব কিছু পেয়েছে। সেই কথায় সমর্থন করে কোকো। সে বলে “তোমাদের অনেক ভাগ্য কাকিমা চাকরি করত না তাই তোমরা এত ভালোবাসা পেয়ে, ভালোভাবে ছোটবেলা কাটাতে পেরেছো। আমার মা তো স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন আমার ছোটবেলাটা তো যেমন তেমন করে চলে গেছে।”

আরও পড়ুন- কপালে জুটে ছিল বউ চোর তকমা! অনুপমের তৃতীয় বিয়ের খবর শুনে কি বললেন পরমব্রত?

সেই কথায় সমর্থন করেন উদ্যালক বসুও। তখন টিনটিন বলে “মা যে কি করছে ওখানে কে জানে? কে বলতে পারে ওখানে মা কোনও কাণ্ড ঘটেছে না।” সেটা শুনে তার প্রতিবাদ করে তোতা। সে বলে “কেন তারা সবসময় মাকে এইভাবে অপমান করে। মা ওখান থেকে রান্না শিখে আরও ভালো ব্যাবসা খুলবে আরও নাম হবে তার।” ওদিকে রেডি হয়ে যায় খিলখিল এবং তাকে যেতে বলে অপরাজিতা। তখন তাকে ময়ূরাক্ষী বলে সে এখনও বলেনি যে খিলখিলের বাবা উদ্যালক।

তখন অপরাজিতা বলে সে কেন ভাবছে না তার মেয়ের কথা। তার মেয়ের এটা জানা অধিকার তার বাবা কে। যদি তার কিছু হয়ে যায় তাহলে কে দেখবে খিলখিলকে। সেই কথা শুনেই ভেঙে পড়ে ময়ূরাক্ষী। তিনি বলে সেটাই ভেবেই ভয় পান তিনি। তিনি তারপর অপরাজিতাকে বলেন তার সঙ্গে আশীর্বাদও হয়েছিল উদ্যালকের এবং তাদের অতীতের আরও কিছু কথা তাকে বলে ময়ূরাক্ষী। তখন অপরাজিতা সিদ্ধান্ত নেয় সে উদ্যালকের শাস্তি তাকে দেবেই। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের কি ঝড় উঠতে চলেছে কোজাগরী জীবনে?

Back to top button