“আমি জেল থেকে বেরিয়ে আবার গুলি করব মেঘকে! এবার আর টার্গেট মিস হবে না!” বাবা মাকে হুঁশিয়ারি ময়ূরীর

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলে (Icche Putul) মেঘ এবং নীল তাদের বিয়ের পর চলে গেছে গাঙ্গুলি বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মেঘ ভাবতে থাকে তার অতীতে এই বাড়িতে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা। তখন মেঘের পরিস্থিতি বুঝতে পেরে নীল এবং তার পরিবারের সকলেই মেঘকে আশ্বস্ত করে যে আগেরবার যা হয়েছে সেটা এইবার কিছুতেই ঘটবে না। তারা সকলেই মেঘের যত্ন করবে এবং তাকে ভালো বসবে।

ওদিকে অনিন্দ্য বাবু চলে যান ময়ূরীর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে গিয়ে তিনি ময়ূরীকে বোঝাতে শুরু করেন তাকে ভালো হতে হবে। কিন্তু সেই কথায় ময়ূরী বলে তাকে জ্ঞান না দিতে এবং তার জন্য ভালো উকিলের ব্যবস্থা করতে। তখন সেখান থেকে চলে আসেন অনিন্দ্য বাবু। তিনি উকিলের সঙ্গে কথা বলেন ময়ূরীকে ছাড়ানোর জন্য। কিন্তু উকিল তাকে জানিয়ে দেয় এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না তখন মধুমিতাকে গিয়ে তিনি জানান সে কথা।

মধুমিতা তাকে বলেন এখন ময়ূরীকে না ছাড়াতে কারণ এখন সে বাইরে এলেই মেঘের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। তিনি এও বলেন যে তারা কি করে ময়ূরীকে এরকম তৈরি করলেন ময়ূরীর অসুস্থতার কথা ভেবে তিনি সবসময় ময়ূরীকে বেশি ভালোবেসেছেন অথচ ময়ূরীই এরকম হল। তখন তাকে সান্তনা দিতে থাকে অনিন্দ্য বাবু। তিনি বলেন তারা গিয়ে দেখে করে আসবে ময়ূরীর সঙ্গে। ওদিকে ময়ূরীর খারাপ ব্যবহারের জন্য তাকে অন্য জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু সেখানে গিয়েই মোহিনী নামে একজন কয়েদির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ময়ূরী। হাতাহাতিও হয় তাদের মধ্যে। পরে পুলিশ এসে তাদের থামায়। তখন ময়ূরী ফন্দি আঁটে যে সে সকলের সঙ্গেই মারামারি করে নিজেকে মানসিক রোগী প্রমাণিত করে হাসপাতালে ভর্তি হবে এবং সেখান থেকে পালিয়ে যাবে। তারপর লুকিয়ে থেকে মেঘের ক্ষতি করবে। সে এও ভাবে যে সে তার বাপি মাকেও শান্তিতে বাঁচতে দেবে না।

মধুমিতা এবং অনিন্দ্য বাবু ময়ূরীর সঙ্গে দেখা করতে এলে দেখে গতদিনের মারামারির কারণে ময়ূরীর মুখ কেটে গিয়ে এবং সেখান দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। তখন তাদের দেখে হাসতে থাকে ময়ূরী।অনিন্দ্য বাবু এবং মধুমিতাকে বলে সে বলে এখন থেকে সে বেরোবে এবং মেঘকে আবার গুলি করবে কিন্তু এইবার তার নিশানা মিস হবে না। সেটা শুনে চমকে যায় অনিন্দ্য বাবু আর মধুমিতা। তবে কি মনে হয় আপনাদের ময়ূরীকে সত্যি ক্ষতি করে দেবে মেঘের?

Back to top button