বিপাশার নিল বিরাট সিদ্ধান্ত! মধুরিমার শর্তে রাজি হয়ে চন্দনকে জেল থেকে ছাড়ালো সে !

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথার (Kar Kache Koi Moner Kotha) গল্পে চলে এসেছে নতুন মোড়। ইতিমধ্যেই বিপাশার কাছে গিয়ে চন্দনকে ছাড়ানোর জন্য অনুরোধ করতে থাকে চন্দনের মা। তিনি বিপাশাকে বলেন চন্দনকে জেল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে। নাহলে তারা সবাই না খেতে পেয়ে মারা যাবে। চন্দনই তাদের বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী মানুষ। সে না থাকলে তাদের বাড়ি শ্মশান হয়ে যাবে।

তখনই চলে আসে বসুন্ধরা। সে বিপাশাকে দেখে বলে মধুরিমা তাকে খুবই মারধর করছে। সেটা শুনে বিপাশা মধুরিমাকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে এইভাবে একটা ছোট মেয়েকে মারছে। তখন মধুরিমা বলে বসুন্ধরা বাবার কাছে যাবে বলে জেদ করছে। মধুরিমা বিপাশাকে অনুরোধ করে চন্দনকে ছড়িয়ে আনতে। কারণ চন্দন ছাড়া তাদের বাড়িতে আর কেউ টাকা রোজগার করেনা। এখন যদি মধুরিমাকে চাকরি খুঁজতে যেতে হয় তবে বসুন্ধরার দেখাশোনা করার মতো কেউ থাকবে না।

তখন বিপাশা বলে “যদি আমি চন্দনকে এই বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসি তাহলে চন্দন আমাকে এই বাড়িতে থাকতে দেবে না। সে আমায় এটাও বলে গেছে সে আমায় খুশি হতে দেবে না।” এই কথা শুনে মধুরিমা বলে এরকম কিছুই করতে পারবে না চন্দন। এই বাড়ি এখনও তাদের শাশুড়ি মায়ের, তাই তিনি যা চাইবেন এই বাড়িতে তাই হবে। বিপাশা যেন দয়া করে চন্দনকে ছড়িয়ে নিয়ে আসে। বসুন্ধরাও বিপাশাকে অনুরোধ করে চন্দনকে ছাড়িয়ে আনতে।

তখন বিপাশা মধুরিমা আর চন্দনের মাকে বলে শুধুমাত্র এই বাচ্চাটার কথা ভেবে সে আজ চন্দনকে ছড়িয়ে আনতে যাচ্ছে। এই বলেই বেরিয়ে যায় বিপাশা। ওদিকে বাড়ি ফিরে আসে শিমুল দেখে তার জন্য মধুবালা দেবী লুচি, বেগুন ভাজা করে রেখেছে। এটা দেখে শিমুল তাকে জিজ্ঞাসা করে তিনি এরকম কেন করেছেন। তখন পরাগ বলে তার ইচ্ছে হয়েছে তাই মধুবালা দেবী এই সব রান্না করেছেন। কিন্তু শিমুল বুঝে যায় এই সবটাই তার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু মধুবালা দেবী তাকে খেয়ে নিতে বলায় সে আর কিছুই বলতে পারেনা।

ওদিকে থানায় গিয়ে বিপাশা অফিসারকে বলে সে কেসটা তুলে নিতে চায়। তখন অফিসার বলেন “কিন্তু কেন? আপনি তো কালই অভিযোগ করে গেলেন।” তখন বিপাশা বলে চন্দনের একটা ছোট মেয়ে আছে আর সে বাবার জন্য খুব কান্নাকাটি করছে। তার জীবনটা তো নষ্ট হয়েই গেছে। এখন সে ওই বাচ্চাটার জীবন নষ্ট হতে দেবে না।।সে তার বাবাকে চায়, তাই বিপাশা চন্দনকে ছড়িয়ে নিয়ে যেতে এসেছে। তখন অফিসার বিপাশাকে বলে সে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। চন্দন এরপর বিপাশার বড় ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু বিপাশা বলে তার যা হবে দেখা যাবে। এই কথা শুনে চন্দনকে নিয়ে আসতে হবে অফিসার। বিপাশা তাকে ছাড়িয়েছে শুনে অবাক হয়ে যায় চন্দন। তাহলে কি এবার নিজের ভুলটা বুঝতে পারবে চন্দন?

Back to top button