Balijhor: “আমি ঝোরাকে ছাড়া এক মূহুর্তও থাকতে পারছি না যদি কিছু করে বসে! এতো ভালোবাসা বিয়ের দিন দেখালে আজ মহার্ঘর সাথে বিয়েটা হতো না”! বহুরূপী স্রোত, দাবি নেটিজেনদের

বাংলা টেলিভিশনের জন্মকাল থেকেই বাঙালি দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হলো বাংলা ধারাবাহিক(Bengali Serial)। এক একজনের এক একটি ধারাবাহিক প্রিয়। আর তাইতো সন্ধ্যা নামলেই মা-কাকিমারা বসে যান টিভির সামনে‌ নিজেদের পছন্দসই সিরিয়ালটি দেখতে। আর টিআরপি(TRP)তালিকায় ভালো পারফর্ম করলে থাকবে না হলে সরে যেতে হবে আপাতত এই প্রথাই চলছে টেলিভিশন জুড়ে। বাঙালির সিরিয়াল প্রেমের তালিকায় রয়েছে একাধিক সিরিয়াল। যদিও সম্প্রতি একাধিক চ্যানেলে বিভিন্ন সিরিয়াল বন্ধ হয়ে চালু হয়েছে একাধিক নতুন সিরিয়াল‌।কিন্তু তা সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে বাঙালির সিরিয়াল প্রেমে খামতি আসেনি।

বর্তমানে স্টার জলসা’র অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল বালিঝড়! লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে এই ধারাবাহিকে পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্নেহাশিস জানা। একটা সময় TRP তালিকায় রাজ করেছিল এই ধারাবাহিক খড়কুটো! গুনগুন-সৌজন্য’র জুটিকে ফেরানের আর্জি জানিয়েছিলেন ভক্তরা। গুঞ্জন সেই আর্জি মঞ্জুর করেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর লেখা ধারাবাহিকেই ফের স্টার জলসায় ফিরেছেন তৃণা ও কৌশিক। তবে এবার শুধু তৃণা আর কৌশিক নয়, তাঁদের সঙ্গেই‌ ফিরেছেন ইন্দ্রাশিস রায়! এবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গল্প সাজিয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে তৃণা, কৌশিক ও ইন্দ্রাশিসের ত্রিকোণ প্রেম।

এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যে সমুদ্র সেন নামে এক বড় পলিটিশিয়ানের মেয়ে ঝোরা! আর সেই পলিটিশিয়ানের নয়নের মনি তাঁর প্রিয় পাত্র মহার্ঘ্য। এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে, ঝোরা ভালবাসে স্রোত ওরফে ইন্দ্রাশিস’কে, তাকেই বিয়ে করতে চায়, কিন্তু সমুদ্র সেন ঝোরার সঙ্গে মহার্ঘ্যরই বিয়ে দেবেন বলে মনস্থির করেছেন। এমনকি সর্বসম্মুখে বিয়ের কথা ঘোষণাও করে দিয়েছেন। এই ঘোষণা শুনে একদিকে যেমন স্রোত রেগে যায়, এবং ভাবে যে,তাকে এই ঘোষণা শোনানোর জন্যই ডেকেছিলো ঝোরা। অন্যদিকে মহার্ঘ্যকে ভুল বোঝে ঝোরা। সে ভাবে রাজত্ব পাওয়ার লোভে এই পরিকল্পনা করেছে মহার্ঘ্য। ঝোরার জন্য কষ্ট পাচ্ছে এই ধারাবাহিকের দুই নায়কই।

মহার্ঘ্যর সঙ্গে বিয়ের রাতে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ঝোরা। স্রোতের বাড়িতে বসে বিয়ের আসর। আর সেখানে পুলিশ নিয়ে এসে উপস্থিত হয় ঝোড়ার বাবা সমুদ্র সেন, ঝোরার মা ও মহার্ঘ্য।‌‌ স্রোতকে তাঁরা তাঁদের মেয়েকে তুলে নিয়ে আসার অভিযোগে বিদ্ধ করে।

এরপর ঝোরা ও স্রোতের বিয়ে ভেঙ্গে তাঁরা ঝোড়া’কে নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার আগে ঝোরা স্রোতকে বলে যায়‌ সে শুধুমাত্র স্রোত’কেই ভালোবাসে। অসমাপ্ত এই প্রেম কাহিনী দেখে চোখে জল আসে ভক্তদের। তবে অবশেষে মহার্ঘ্যর সঙ্গেই বিয়ে হয় ঝোরার।

তবে ঝোরার সঙ্গে মহার্ঘ্যর বিয়ে হওয়ার পর থেকেই ঝোরার প্রতি নতুন করে ভালোবাসা উথলে উঠছে স্রোতের। স্রোতের এই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপ পরিবর্তন দেখে তাঁকে বহুরূপী আখ্যা দিয়েছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লিখেছেন, “স্রোত: আমি ঝোরা কে ছাড়া এক মূহুর্তও থাকতে পারছি না। ঝোরা যদি কিছু করে বসে।

বাহ কি ভালোবাসা উতলে পরছে ঝোরার জন্য। এতো ভালোবাসা বিয়ের দিন দেখালে আজ মহার্ঘ এর সাথে বিয়ে টা হতো না। একেই বলে বহুরূপী স্রোত। একেক বার একেক রুপ দেখায়। আমার মনে হয়না স্রোত তার পরিবারের কথা মানবে। যেভাবে ঝোরার কথা ভেবে পজেসিভ হচ্ছে তাতে ঝোরার সাথে দুই একদিন দেখা হলেই কাজ শেষ। আমি শিওর এই ঝোরাকে মহার্ঘ বিরুদ্ধে বার বার উসকিয়ে তুলবে। এর আগেও তো মহার্ঘ এর বিরুদ্ধে যা তা বললো ঝোরা কে।” আসলে ঝোরার প্রতি মহার্ঘ্যর নিষ্ঠাময় ভলোবাসা অনেক বেশি প্রশংসা পাচ্ছে স্রোতের মান অভিমান অপমান সমৃদ্ধ ভালোবাসার থেকে। আর তাই স্রোতের প্রতি ক্ষোভ জমছে দর্শকদের মনে।

Back to top button