Balijhor: জনপ্রিয় বাংলা সিনেমাকে টুকে দিয়েছে বালিঝড়! উঠলো অভিযোগ! মুভিতেও কে আসল নায়ক শেষ অবধি বোঝা যায়নি, এখানেও তাই

বালিঝরেও হয়তো অনেকটা এমন হবে, যে এখন স্রোত হউক কিংবা লালন ওর জন্য খারাপ না লাগলেও শেষ অব্দি যখন ঝোরা মহার্ঘ্যর সাথে সেটেল হয়ে যাবে তখন খারাপ লাগবে। তখন সবার মিলে ঝোরাকেই গালি দিতে বসতে হবে, এতদিন বিয়ের পরেও স্রোতের সাথে নাটক করার জন্য।

জনপ্রিয় তারকা তৃণা সাহা ও কৌশিক রায়-এর ‘বালিঝড়’ ধারাবাহিক অল্পদিনেই বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে দর্শকদের কাছে। ধারাবাহিকে মহার্ঘ্যর চরিত্র অর্থাৎ কৌশিক রায় দর্শকদের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। খড়কুটোর পর একই সঙ্গে তাদের আবার দেখা গিয়েছে এই ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকে তাঁদের সঙ্গে আরও এক জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনয় করছেন, তাঁর নাম ইন্দ্রাশিস রায়।

ধারাবাহিকটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি। নায়িকা তৃণা সাহা অর্থাৎ ঝোরা ভালোবাসে ইন্দ্রাশিস রায় অর্থাৎ স্রোতকে। ঝোরার বাবা রাজনীতিবিদ সমুদ্র সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ‘ভরত কল’। তিনি নিজের সহযোগী অর্থাৎ মহার্ঘ্যর সঙ্গে ঝোরার বিয়ে দিয়ে দেন। কিন্তু ঝোরা ভালোবাসে স্রোতকে। এই স্রোতের চরিত্রেই আছেন ‘ধূলোকণা’ সিরিয়ালের লালন অর্থাৎ ইন্দ্রাশিস রায়।

উক্ত ধারাবাহিকে প্রথম থেকেই ত্রিকোণ সম্পর্কের আভাস পাওয়া গিয়েছে। মহার্ঘ্যও জানতে পারে ঝোরার প্রেমের কথা। তাই মহার্ঘ্য ঠিক করে, কিছুদিন পর ঝোরাকে ডিভোর্স দিয়ে স্রোতের সঙ্গেই বিয়ে দেবে তার। সেও প্রথম থেকে ঠিক জিনিসের সমর্থন করে এসেছে। ঝোড়ার মাকেও তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিয়েছে মহার্ঘ্য। এমনকি ঝোরা মহার্ঘ্যকে কটু কথা বলা সত্বেও মহার্ঘ্য এখনও ঝোরার খেয়াল রাখে।

আর এসব মিলিয়ে দর্শকদের কাছে খুবই ভালো স্থানে পৌঁছে গিয়েছে মহার্ঘ্য। এরপরও ঝোরা মহার্ঘ্যর সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করছে। যা দেখে দর্শকদের মনে হচ্ছে, একদিন মহার্ঘ্য ভিলেন হয়ে যাবে। বড়লোকের মেয়ে ঝোরার ব্যবহারে অখুশি দর্শক। এখনও দর্শক বিভ্রান্তে আছেন যে ধারাবাহিকে আসল নায়ক কে? শেষমেশ কার সঙ্গে মিল হবে ঝোরার। কারণ এখনও পর্যন্ত মহার্ঘ্য ও স্রোত দুজনেই খুব ভালো রোল প্লে করছে। স্রোত ঝোরাকে ভালোবাসে।

আর এই গল্প দেখে দর্শকদের এক বাংলা সিনেমার কথা মনে পড়ছে। একজন একটি পোস্টে লেখেন, “#বালিঝর মনে হচ্ছে অনেকটা #নীলআকাশেরচাঁদনী মুভিটার মত হবে। ওই মুভিতেও কে আসল নায়ক শেষ অব্দি বুঝা মুশকিল ছিল। মুভির নামটাও সবার নামের সাথে মিলিয়ে ছিল।বালিঝরেও হয়তো অনেকটা এমন হবে, যে এখন স্রোত হউক কিংবা লালন ওর জন্য খারাপ না লাগলেও শেষ অব্দি যখন ঝোরা মহার্ঘ্যর সাথে সেটেল হয়ে যাবে তখন খারাপ লাগবে। তখন সবাই মিলে ঝোরাকেই গালি দিতে বসতে হবে, এতদিন বিয়ের পরেও স্রোতের সাথে নাটক করার জন্য”।

Back to top button