‘তোমার ভালোবাসা চাই মা, কর্তব্য চাই না’! মাকে ছাড়া বড় হওয়া মানুষই বুঝবে রঞ্জার কষ্ট! শাশুড়িকে বলা কথায় মুগ্ধ দর্শক

দর্শকদের ইচ্ছা অনুযায়ী সাত পাকে বাঁধা পড়েছে রাধিকা ও অনির্বাণ। যদিও বিয়ের আগে ও পরে নানান বাধা এসেছে। তবে সব বাধা পাড় করে সেই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। রাধিকা ও অনির্বাণের এই শুভ পরিণয়ের জন্য অপেক্ষায় ছিল অনেকেই। এবার আরও এক সুন্দর মুহূর্তের অপেক্ষায় দর্শক। উল্লেখ্য, অনির্বাণ ও রাধিকা জুটি দর্শকদের বেশ পছন্দ। এর আগেও এই জুটিকে দর্শক দেখেছে ‘মোহর’ ধারাবাহিকে।

তাই ‘এক্কা দোক্কা’তে (Ekka Dokka) অনির্বাণ অর্থাৎ প্রতীকের এন্ট্রি হতেই সকলেই আবদার করে রাধিকা ও অনির্বাণের জুটি হোক। আর তাই দর্শকের কথা মতো লেখিকা সেই দিনটিকে নিয়ে চলেই এলেন। স্টার জলসার জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘এক্কা দোক্কা’। তবে গল্পের শুরুতে যে নায়ক ছিল, এখন সেই নায়কের জায়গা দখল করেছে অন্যজন। দুই পরিবারের শত্রুতার মাঝেই দুজনের প্রেম নিয়ে শুরু হয় স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’।

গল্পের নতুন মোড়

কিছু মাসের মধ্যে লেখিকা গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয় অনেকটাই। রাধিকা ও পোখরাজের বিচ্ছেদ্দ ঘটে। পোখরাজের সঙ্গে বিয়ে হয় রঞ্জার। পরিস্থিতির শিকার হয়ে পোখরাজের সঙ্গে রঞ্জার বিয়ে হলেও একে অপরের প্রতি সম্মান ও বোঝদার হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব কমে ভালোবাসায় পরিণত হয়। বর্তমানে দুজনের মধ্যে এক সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। রঞ্জার ব্যবহারে পোখরাজ রঞ্জাকে ভালোবাসতে বাধ্য হয়। দুজনের মধ্যে দূরত্ব কমতে শুরু হয়। তারা দুজনেই একে অপরকে অনেক বিশ্বাস ও সম্মান করে।

পোখরাজ ও রঞ্জার জীবনে এল সুখবর

দর্শকদের মতে, রঞ্জাই পোখরাজের সঠিক জীবনসঙ্গিনী। দুজনের জুটিকে খুব প্ৰচণ্ড করে দর্শক।
তাই ধারাবাহিকে যেটুকু মুহূর্ত পোখরাজ ও রঞ্জাকে নিয়ে দিচ্ছে, সেটাই বেশ এনজয় করছেন সকলে। কিছিদিন আগেই তাদের জীবনে এসেছে খুশির খবর। রঞ্জা পোখরাজকে জানায়, সে মা হতে চলেছে। যা শুনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পোখরাজ রঞ্জাকে বুকে টেনে নিল। এমন মুহূর্ত দেখে পোখরাজ ভক্তরাও খুব খুশি। একদিকে অনির্বাণ ও রাধিকার সুন্দর এক নতুন জীবন শুরু হল, অন্যদিকে পোখরাজ ও রঞ্জা পেল তাদের জীবনের এক নতুন অনুভূতি।

রঞ্জার অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক

দর্শকদের এটাই আশা, যে লেখিকা রাধিকা ও পোখরাজ উভয়ের রোলকেই সমান ভাবে গুরুত্ব দিয়ে পর্দায় পরিবেশন করুক। আমরা জানি, পোখরাজের মা রঞ্জাকে পছন্দ করে না কারণ রঞ্জার বাবা গুন্ডা। তবে সে তার শাশুড়ি মায়ের ভালোবাসা পেতে চায়। তাই সে তার শাশুড়ি মাকে প্রশ্ন করে, কেন সে তাকে নিজের কাছে টেনে নিচ্ছে না! ছোটবেলায় মাতৃহারা রঞ্জা তার শাশুড়ির কাছে যে ভালোবাসার আশা করছে সেই ভালোবাসার ক্ষুদার্থ অনেকেই। স্বপ্ননীলা চক্রবর্তী ওরফে রঞ্জার সেই অভিনয় মাতৃহারা সন্তানদের মনের সেই দুঃখ ফুটিয়ে তুলল, যা দেখে আপ্লুত সকল দর্শক।

Back to top button