অফিসে ঘ’নি’ষ্ঠ অবস্থায় ধরা পড়ল রাই-অনির্বাণ! ছি’ছি’কা’র অফিস জুড়ে! কী করবে রাই?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল মিঠিঝোরা (Mithijhora)। আর এই সিরিয়ালের হাত ধরেই যে মিতুলের কামব্যাক হচ্ছে, তা সকলেরই জানা । তবে, কেমন হবে এই ধারাবাহিকের গল্প ? তিন বোনের গল্প , দিদির স্বা’র্থত্যা’গের কাহিনি ও নারীর ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে পারিবারিক প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ধারাবাহিকটি । তিন বোনের চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা মাইতি, দেবদ্রিতা বসু, স্বপ্নীলা চক্রবর্তী ।

‘মিঠিঝোরা’ বলছে রাইপূর্ণার গল্প । মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে । রয়েছে আরও দুই বোন । হঠাৎ বিয়ে ঠিক হয়ে যায় রাইয়ের । যখন নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিল রাই, তখনই তাঁর জীবনে নেমে আসে বড় দু’র্যো’গ । হঠাৎ তাঁদের বাবা অসু’স্থ হয়ে পড়ে বাবা । সংসারের দা’য়িত্ব এসে পড়ে রাইয়ের কাঁ’ধে । ভে’ঙে যায় তাঁর বিয়ের স্ব’প্ন ।। পরিবারের জন্য নিজের স্বপ্নকে স’মর্পণ করে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না রাই । এই রাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা ।

এই বাড়ির আয়ের একমাত্র উৎস, পরিবারের কর্তা মা’রা যায় তার বড় মেয়ে রাইয়ের বিয়ের দিনে। এরপরেই সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে, নিজে বিয়ে না করে নিজের বোন নীলুর সঙ্গে প্রেমি’কের বিয়ে দেয় রাই। বদলে যায় পুরো চিত্র। বিয়ের পর শৌর্য্যকে পেয়ে নিজের দিদিকেই অপ’মান করতে থাকে নীলু। সংসারের জন্য নিজের সুখ সবকিছু ত্যা’গ করতে হয়েছে রাইকে। এমনকি নিজের ভালোবাসার মানুষকে বোনের হাতে হাসিমুখে তুলে দিতে হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পরিবারের লোকজনের কাছে অবহেলিত সে।

আর এই কারণেই দর্শক চাইছিলেন রাইয়ের জীবনে কেউ আসুক। দর্শকদের আশা পূরণ করেই রাইয়ের জীবনে আনা হয়েছে অনির্বাণকে। আর এর মধ্যেই তারা দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে সদ্য একটি চাকরি পেয়েছে রাই। শৌর্য্যের দাদা অনির্বাণ কলকাতায় নতুন স্টার্ট আপ খুলেছে। আর সেখানেই সে চাকরি পেয়ে যায়।

প্রথম দিনই বসের সাথে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেছে রাইয়ের। এমনকী রাই না খেয়ে আসায় অনির্বাণ তার সাথে টিফিন শেয়ার করে। এমনকি দুজন দুজনের নিজেদের জীবনের কথা জানায়।ধীরে ধীরে জমে উঠেছে অনির্বাণ এবং রাইয়ের প্রে’ম কাহিনী, বাড়ছে আন্তরিক ঘনি’ষ্ঠতা।অফিসেই গড়ে উঠছে প্রে’ম। আর যা দেখে ঈ’র্ষা হচ্ছে অফিসের বাকি কর্মীদের। কেমন প্রতিক্রিয়া হবে এই ঘনি’ষ্ঠতা দেখে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দেখতে হবে জি বাংলার পর্দায় ‘মিঠিঝোরা’।

Back to top button